নিজস্ব প্রতিনিধি: সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির বিচার একই আদালতে করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
তবে আদালত পরিবর্তনের আবেদনে সাড়া দেননি উচ্চ আদালত। সেই সাথে মামলার বাদী, সাক্ষী ও বাদীপক্ষের আইনজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আসামিদের আইনজীবী না থাকলে তাকে আইনজীবী দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ও ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন বলেন, 'গণধর্ষণকাণ্ডে দায়েরকৃত মামলার দুই ধারায় চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা জজ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। পরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হয়। তখন আমরা বলেছি, দুটি অভিযোগের বিচার একসঙ্গে হোক, কিন্তু ২৪ জানুয়ারি আমাদের সে আবেদন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাকচ করে দিয়েছেন। এরপর আমরা হাইকোর্টে আবেদন করি।'
তিনি বলেন, 'রোববার শুনানি শেষে হাইকোর্ট দুই অভিযোগের বিচার একই আদালতে করার নির্দেশ দিয়েছেন।'
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগ নামধারী কয়েকজন। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে গত ৩ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। আসামিরা হলেন, সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম। বর্তমানে তারা সবাই কারাগারে।
সান নিউজ/একে/এসএস