নিজস্ব প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর চান্দপুরে নির্মাণাধীন কমিউনিটি ক্লিনিকে ও স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় কটিয়াদী থানার ওসি এমএ জলিলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কটিয়াদী থানায় দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি থানার ওসি এমএ জলিলকে প্রত্যাহার করে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে শনিবারের (৬ ফেব্রুয়ারি) হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় কটিয়াদী থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে কটিয়াদী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের নির্বাহী আতিকুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে।
এদিকে রোববার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। মিছিলটি কটিয়াদী উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বাসস্ট্যান্ড সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। মিছিল থেকে স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। সমাবেশ থেকে স্বাস্থ্যসচিবকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। মিছিলে আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুরে নিজের গ্রামের বাড়ির পেছনে তার পৈতৃক জমিতে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণকে কেন্দ্র করে শনিবার স্থানীয় এমপির লোকজন ক্লিনিকে হামলা ও ভাঙচুর করে। স্থানীয় এমপির সমর্থকদের হামলায় দীর্ঘসময় স্বাস্থ্যসচিব নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ থাকার পর বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ পাহারায় ঢাকা ফিরে যান।
সান নিউজ/এমকেএস/এসএস