নিজস্ব প্রতিনিধি, জামালপুর: জামালপুরে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে জামালপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এই টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এনামুল হক, পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন, সদর থানার ওসি রেজাউল ইসলাম খান, সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস, জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু প্রমুখ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মির্জা আজম এমপি বলেন, 'পৃথিবীর উন্নত অনেক দেশ এখনো টিকা পায়নি। কয়েকটি দেশে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে আজ থেকে করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হলো।'
জামালপুরের ৭ উপজেলায় ৯ টি বুথে দেওয়া হচ্ছে কোভিড-১৯ টিকা। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর সারা জেলায় এই টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়।
উদ্বোধনের পর প্রথম টিকা নেন জামালপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স বৃষ্টি নাগ (২৮)। এরপর নেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শফিকুজ্জামান।
জামালপুরের ৭ উপজেলার মধ্যে ৬ টি উপজেলায় ১ টি করে বুথে এবং সদর উপজেলায় ২ টি বুথে চলছে করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম। সদর উপজেলার ২টি বুথ জামালপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ও পুলিশ লাইনসহ প্রতিটি উপজেলা বুথে স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা টিকা নিচ্ছেন। জামালপুর সদরে মিডিয়াকর্মীদের মধ্যে একমাত্র গাজী টেলিভিশনের সাংবাদিক আলী আকবর টিকা নিয়েছেন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শফিকুজ্জামান জানান, জামালপুরে ৩১ জানুয়ারি কোভিড-১৯ এর ৭২ হাজার ডোজ টিকা এসেছে। সারা জেলায় ৯ টি বুথে আজ থেকে টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারা জেলায় ৯৭ টি বুথে এই টিকা দেওয়া হবে।
টিকা নেওয়ার পর অভিব্যক্তি প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, টিকা নিয়ে ভালো লাগছে। কোনো প্রকার নেতিবাচক শারীরিক প্রতিক্রিয়া অনুভূত হয়নি। এই টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ। কোনো প্রকার গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সান নিউজ/এসজে/এনকে