নিজস্ব প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে তিন প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থী উচ্চ মাধ্যমিকের গন্ডি পার করতে পারিনি। এক প্রার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পাস। তিন মেয়র প্রার্থী নির্বাচনে ২ লাখ টাকা ব্যয় করবেন বলে হফলনামায় উল্লেখ করেছেন। এমন তথ্য পাওয়া গেছে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামা থেকে।
আগামী ১৪ ফ্রেরুয়ারি সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালেট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
জীববনগর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শাহাজাহান কবীর (ধানের শীষ) এবং ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী খোকন মিয়া (হাত পাখা) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
জীবননগর পৌরসভায় ১০টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৮২৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ১৩৩ জন এবং মহিলা ১০ হাজার ৬৯৩ জন।
আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম হলফনামায় নিজেকে ৮ম শ্রেণী পাস বলে উল্লেখ করেছেন। তার নামে কোনো মামলা নেই। কৃষি খাত থেকে আয় ৪০ হাজার ৩শ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ২ লাখ ৯৯ হাজার ৭০০ টাকা, নগদ আছে ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ১৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা, স্বর্ণ আছে ৫ ভরি, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫০ হাজার টাকা, অন্যন্যা বিনিয়োগ ১৬ লাখ ৫৪ হাজার ৩৩১ টাকা, কৃষি জমি ৭ বিঘা, পৈত্রিক সূত্রে পাকা বাড়ি, ব্রাক ব্যাংকে ঋণ আছে ১২ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫ টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয় করবেন ২ লাখ টাকা।
বিএনপি’র মনোনীত মেয়র প্রার্থী শাহাজাহান কবীর হলফনামায় নিজেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস বলে উল্লেখ করেছেন। তার নামে ৬টি মামলা বিচারাধীন আছে এবং ৩টি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। বর্গা চাষ থেকে আয় ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা, নগদ আছে ১০ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ২ লাখ টাকা, মোটরসাইকেল একটি, স্বর্ণ আছে ১ ভরি, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫০ হাজার টাকার, আসবারপত্র ৬০ হাজার টাকা, অন্যান্য পুঁজি ৫ লাখ টাকা, অকৃষি জমি ১০ কাঁঠা, কাঁচা-পাঁকা বাড়ি, ব্যাংকে ঋণ নেই এবং নির্বাচনী ব্যয় ২ লাখ টাকা।
এবং ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী খোকন মিয়া হলফনামায় নিজেকে ৮ম শ্রেণী পাস উল্লেখ করেছেন। তার নামে কোনো মামলা নেই্। ব্যবসা থেকে আয় ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, নগদ আছে ১ লাখ টাকা, মোটর সাইকেল ১টি, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ফ্রিজসহ অন্যান্য, স্বর্ণ আছে আড়াই ভরি, ব্যাংকে ঋণ নেই এবং নির্বাচনী ব্যয় করবেন ২ লাখ টাকা।
জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান জানান, প্রার্থীদের হলফনামায় তথ্যের গড়মিল থাকলে নির্বাচনের পরেও নির্বাচন কমিশন আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে।
সান নিউজ/এসকে/কেটি