বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
সারাদেশ প্রকাশিত ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৭:০৬
সর্বশেষ আপডেট ৩০ জুন ২০২১ ১৭:১৭

ইটভাটার মাটি নিতে অন্যের জমিতে জোর পূর্বক রাস্তা তৈরি

নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়। এতে করে এক দিকে নষ্ট হচ্ছে জমির উর্বরা শক্তি। অপরদিকে বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর।

প্রতিদিন ১০-১২ ট্রাক্টর দিয়ে কেটে নেয়া হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। এতে ধুলায় ঢাকা পড়ছে গ্রামের রাস্তা ও আশেপাশের বাড়িঘর। জমির মাটি কেটে নেয়ায় উঁচু হয়ে যাচ্ছে পাশের জমিগুলো। এতে করে সেচের পানি থাকছে না ওইসব জমিতে।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার রাজাবাড়িয়াকান্দি এলাকায় গড়ে উঠেছে ৩-৪ টি ইটভাটা। এসব ইটভাটার মালিকরা কৃষকদের কাছ থেকে ফসলি জমির মাটি কিনে আনছেন। কৃষকদের অভিযোগ, ইটভাটায় মাটি পরিবহনের জন্য সরকারি জলাশয় (লইস্কা বিল) ভরাট করে এবং কৃষকের জমির উপর দিয়ে জোর করে রাস্তা বানানো হচ্ছে।

উপজেলার রাজামারিয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা হারুনুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, ইটভাটায় ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পরিবহনের জন্য আমার জমির ওপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা করেছেন প্রভাবশালীরা। আমি গরিব মানুষ। লোকবল নেই। প্রতিবাদ করলে হুমকি দেয়। সারাদিন ট্রাক্টর চলার কারণে এলাকা ধুলাবালিতে সয়লাব হয়ে গেছে।

কৃষক আজগর আলী জানান, ফসলি জমির মাটি কাটা নিষেধ জেনেও তিনি সাড়ে ১২ কানি জমির (১ কানিতে ৩০ শতক) মাটি ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। প্রতি কানি জমি থেকে বিক্রি করেছেন পাঁচ ফুট করে মাটি।

ডিজিটাল ব্রিকস নামে একটি ইটভাটার মালিক বাবুল মিয়া তার ইটভাটা থেকে প্রায় কোয়ার্টার কিলোমিটার দূরে ১২ কানি ফসলি জমির মাটি কিনেছেন। সেখানে প্রতি জমি থেকে পাঁচ ফুট গভীর করে মাটি কাটা হচ্ছে।

বাবুল মিয়া বলেন, কৃষকরাই আমাদের কাছে তাদের জমির মাটি বিক্রি করছেন। উঁচু জমিতে ফসল ভালো হয়না, পানি থাকেনা তাই তারা আমাদের কাছে তাদের জমির মাটি বিক্রি করছেন। মাটি কাটলে জমিতে ফসল ভালো হয়। জোর করে রাস্তা নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জমির মালিকদের পরামর্শ নিয়েই মাটি নিতে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। মাটি নেয়া শেষ হয়ে গেলে রাস্তার মাটি সরিয়ে দিব।

সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, ফসলি জমির মাটি কাটা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। তবে স্বেচ্ছায় কেউ মাটি বিক্রি করলে কিছুই করার থাকেনা। ট্রাক্টরের ধুলায় ফসল নষ্ট হওয়ার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই কাগজপত্র না থাকায় দুটি ইটভাটাকে ৪ লাখ ৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছি। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আমাদের অভিযান চলবে।

সান নিউজ/ আকন্ঞ্জি /এসএ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

মিয়ানমারের দূতসহ ঢাকায় আসছেন মার্কিন ২ কর্মকর্তা

এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় আসছেন মার্কিন প্রশাসন...

দিনাজপুরে অংশ নেবে ১ লাখ ৮২ হাজার ৪১০ পরীক্ষার্থী

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অ...

রাজনৈতিক বৈরিতা ঢাকা পড়েছে ভাগ-বাটোয়ারার ছায়ায়!

উপরে রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও ভেতরে ভেতরে ‘অ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা