নিজস্ব প্রতিনিধি, রংপুর : রংপুর নগরীর ৩১ নং ওয়ার্ডের পানবাড়ি এলাকায় ঘাঘট নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় কৃষক ও গ্রামবাসীরা। তারা বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে বালু উত্তোলনকারীকে আটক করে বিক্ষোভ করেছে। খবর পেয়ে সিটি মেয়র ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বালু উত্তোলনকারী আলম নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় সাধারণ মানুষজনের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর ৩১নং ওয়ার্ডের আরাজি ধর্মদাস পানিবাড়ি এলাকায় এঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীদের দাবি, ঘাঘট নদীর যেই স্থান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে সেখানে রয়েছে
ব্রিজ। এই ব্রিজের উপর দিয়ে প্রতিনিয়তই নাজিরদিঘর, শেখপাড়া, বাগমারা, ভক্তিপুর, আরাজী ধর্মদাস, পানবাড়িসহ প্রায় ২০ গ্রামের মানুষের চলাচল করে থাকে। আর যেখানে উত্তোলন করা হচ্ছে ওই এলাকায় প্রায় ১০০ পরিবারের বাস। তাদের বসতভিটাসহ আবাদি জমি রয়েছে। বালু উত্তোলনের ফলে আবাদি জমি ভাঙছে। আরও কিছু এলাকা ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহিনের নেতৃত্বে নগরীর তাজহাট এলাকার বাসিন্দা আলম মিয়া দীর্ঘদিন ধরে একটি শ্যালো যন্ত্র বসিয়ে ঘাঘট নদের পানবাড়ি সেতুর নিচ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিলেন। এতে এলাকার আবাদি জমি ভাঙছে। বিভিন্ন সময় বালু তোলা বন্ধের দাবি জানালেও শুনেননি। তাই এলাকার ভুক্তভোগী জনগণ বাধ্য হয়ে বালু ব্যবসায়ীকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে।
স্থানীয়রা আরও বলেন, যে স্থান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে ওই এলাকায় প্রায় ১০০ পরিবারের বাস। তাদের বসতভিটাসহ আবাদি জমি রয়েছে। বালু উত্তোলনের ফলে আবাদি জমি ভাঙছে। আরও কিছু এলাকা ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই প্রশাসনের কাছে তাদের দাবি এ এলাকা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হোক।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি) আলতাব হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল থেকে বালু ব্যবসায়ী আলমকে আটক করা হয়েছে।’
রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, এমনিতেই বালু উত্তোলন অবৈধ। এর ওপর সেতুর সংযোগ সড়কের কাছে প্রায় দুই ফুট করে কাটা হয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সান নিউজ/এইচআর/কেটি