এনামুল কবীর, সিলেট : কদিন পরেই সিলেটের কানাইঘাট পৌরসভা নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে সংরক্ষিতসহ সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪৮ জন প্রার্থী। তাদের অর্ধেকই স্ব-শিক্ষিত, সংখ্যাটা ২৪। তবে তা আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ ৪ প্রার্থীর হলফনামা ঘেঁটে শিক্ষাগত যোগ্যতার কলামটির কোন অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি। প্রার্থীদের মধ্যে কামিল বা এমএ পাসও আছেন।
আর মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৩ ওয়ার্ডের ৯ প্রার্থীর মধ্যে স্ব-শিক্ষিতের সংখ্যা ৩, এসএসি ও এইচএসসি পাস ১ জন করে। অপর ৪ জনের মধ্যে ২ জন অষ্টম শ্রেণী ও ২ জন চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন।
এবারের নির্বাচনে ৯ ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী সাধারণ কাউন্সিলরের সংখ্যা ৩৯। সবেচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রার্থী ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ৭ জনের মধ্যে এএসসির পাস নেই একজনও। ৮ম শ্রেণী পাস মাত্র ২ জন। আর অন্য ৬ জনই স্ব-শিক্ষিত। ৮ম শ্রেণী পাসরা হলেন- মো. ইসলাম উদ্দিন (গাজর) ও আবুল বাসার (মোমবাতি)। স্ব-শিক্ষিতরা হলেন, ইফতেখার আলম (ফল), আজমল হোসেন (ব্ল্যাকবোর্ড), কামরুল হাসান (উপপাখী), আবিদুর রহমান (টেবিল ল্যাম্প), মোহাম্মদ মাসুম আহমদ (পাঞ্জাবি)।
প্রার্থী সংখ্যায় এরপরেই আছে ৬ নম্বর ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে ভোটের মাঠে লড়ছেন ৬ জন। তাদের মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতায় সবচেয়ে এগিয়ে মো. ফখরুদ্দিন। উটপাখী নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী এ প্রার্থী তার শিক্ষাগত যোগ্যতার কলামে লিখেছেন টাইটেল/এমএ। অবশ্য এ ওয়ার্ডে আরও ২ জন শিক্ষিত প্রার্থী আছেন। ব্ল্যাকবোর্ড নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দেলোয়ার হোসেনের শিক্ষাগতযোগ্যতা বিএসএস। পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করা ফখর উদ্দিনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি।
এছাড়া কাওছার দেওয়ানের (ফুল) শিক্ষাগতযোগ্যতা ৫ম শ্রেণী। আবুল হোসেন (মোমবাতি) স্ব-শিক্ষিত হলেও মানিক উদ্দিন প্রধানের (গাজর) শিক্ষাগত যোগ্যতা ও মামলায় অভিযুক্ত কি না, এর কোন কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
৭ নম্বর ওয়ার্ডে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৪। এরমধ্যে এইচএসসি পাশ জমির উদ্দিনের প্রতীক বা মামলা সংক্রান্ত কলামটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। একই অবস্থা উটপাখী নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আব্দুর রহিমের। তার মামলা ও শিক্ষাগত যোগ্যতার কলামটির অস্তিত্ব নেই। অপর দুই প্রার্থী আলমাছ উদ্দিন (গাজর) ও শামীম আহমদ (মোমবাতি) স্ব-শিক্ষিত।
৪ নম্বর ওয়ার্ডেও ৪ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে কেউই স্ব-শিক্ষিত নয়। বরং উচ্চ শিক্ষিত আছেন একজন। তিনি হলেন ফরিদ আহমদ (উটপাখী)। তার যোগ্যতা কামিল। আর তাজুল ইসলামের (টেবিল ল্যাম্প) শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি। জসিম উদ্দিন (ফুল) ও হারুন আহমদ (মোমবাতি) লেখাপড়া করেছেন ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত।
২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীর সংখ্যাও ৪। তাদের ৩ জন স্ব-শিক্ষিত ও ১ জন এসএসসি পাস। স্ব-শিক্ষিত প্রার্থীরা হলেন- মোয়াজ্জেম হোসেন (পাঞ্জাবি), শামসুল হক (গাজর) ও আব্দুল হান্নান (মোমবাতি)। আর এসএসসি পাস হলেন মো. জাকারিয়া। তিনি লড়ছেন উটপাখী নিয়ে।
১ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ প্রার্থীর ২ জনই স্ব-শিক্ষিত। তারা হলেন- রহিম উদ্দিন (পাঞ্জাবি) ও কাওছার আহমদ (মোমবাতি)। আর উটপাখীর প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম লেখাপড়া করেছেন পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত। ৩ নম্বর ওয়ার্ডেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩ প্রার্থী। তাদের একজন এসএসসি পর্যন্ত পড়েছেন। তিনি হলেন বিলাল আহমদ (পাঞ্জাবি)। উটপাখীর প্রার্থী কামাল উদ্দিন স্ব-শিক্ষিত হলেও মোমবাতির করিম উদ্দিনের মামলা ও শিক্ষাগত যোগ্যতার কলাম নেই।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীও মোট ৩ জন। স্ব-শিক্ষিত ২ জন আর অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করছেন ১ জন। স্ব-শিক্ষিতরা হলেন মো. এনাম উদ্দিন (উটপাখী) ও মো. জাকির হোসেন ( পাঞ্জাবি)। মোমবাতির প্রার্থী তাজ উদ্দিনের শিক্ষাগতযোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী।
৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ প্রার্থীর সবাই স্ব-শিক্ষিত। তারা হলেন কামরুজ্জামান বাহার (মোমবাতি), শাহাব উদ্দিন (পাঞ্জাবি) ও মো. আবুল বাশার (উটপাখী)।
সান নিউজ/এক/কেটি