শামীম রেজা, মানিকগঞ্জ: ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার সড়ক হবে সংস্কার’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে মানিকগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মোবাইল মেনটেনেন্সের মাধ্যমে সংস্কার কাজ শুরু করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি)। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় তিনশ’ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ইতোমধ্যে ৫০ কিলোমিটার সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। কোন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ছাড়াই প্রকৌশলী অফিসের কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টায় এ কাজগুলো সমাপ্ত হয়েছে। এ প্রকল্পটি আগামী জুন মাস পর্যন্ত চলবে। এ কাজ বাস্তবায়ন করে নজির স্থাপন করেছেন মানিকগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়জুল হক।
জানা যায়, এ বছরে দু’দফায় বন্যায় জেলার ৪২টি রাস্তা অর্থাৎ তিনশ’ কিলোমিটার গ্রামীণ পাকাসড়ক বিধ্বস্ত হয়। ভাঙনের কবলে আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ পিচঢালা, কারপেটিং রাস্তাসহ ইট সলিং ও আধাপাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে ৫৮ কিলোমিটার। এতে বিপদে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ গ্রামের মো. মহিদুর রহমান বলেন, এভাবের বন্যার পানির তোড়ে হরিরামপুর-নয়ারহাট সড়কের আন্ধারমানিক নামক স্থানে ভেঙে যায়। এতে উপজেলা সদরের সাথে জেলার বাস যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু বন্যার পানি নেমে যাওয়া সাথে সাথেই এলজিইডির ব্যবস্থাপনায় এক মাসের মধ্যেই ভেঙে যাওয়া স্থান মেরামত করে। ফলে পুনরায় শুরু হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা।
সাটুরিয়া উপজেলার মোতালেব হোসেন বলেন, বন্যায় দড়গ্রাম-লাইহাটি সড়কের বিভিন্ন জায়গায় খনাখন্দকে সৃষ্টি হয়। ফলে যান চলাচলে বিঘ্ন হয়। পরে এলজিইডি অফিস মোবাইল মেনটেনেন্সের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্ত সড়ক সংস্কার করায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
এলজিইডির প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার দেওয়ান আবুল কালাম আজাদ বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো মোবাইল মেন্টেনেসের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করা হয়েছে। আর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করতে গেলে দীর্ঘ সময় লাগতো। রাস্তার যেখানেই খনাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে সেখানেই সংস্কার করা হয়েছে। এতে মানিকগঞ্জবাসী উপকৃত হয়েছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়জুল হক জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে মানিকগঞ্জ জেলায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মোবাইল মেনটেনেন্স প্রকল্পের আওতায় ৫৮ কিলোমিটার সড়ক মেরামত করা হবে। ইতোমধ্যে ৫০ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বাকি ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক আগামী জুন মাসের মধ্যে সমাপ্ত করা হবে। তাৎক্ষনিকভাবে সংস্কারের জন্য আমরা সকল ধরনের মালামাল ক্রয় করে রেখেছি। যখন প্রয়োজন হবে তখনই সড়কের ভাঙা অংশে সংস্কার কাজ করবো। এতে খরচও কম লাগবে। যান চলাচলে কোন বিঘ্ন ঘটবে না।
সান নিউজ/এসআর/এনকে