নিজস্ব প্রতিনিধি, পাবনা : এক গ্রামের ৪ বসতবাড়িতে বাসা বেধেছে ৪০টি মৌচাক। মৌমাছির ভয়ে একটি পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। অন্য তিন পরিবার মৌমাছির সঙ্গেই বসবাস করছেন। এমনই চিত্র পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামে।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরত্বে শাহপুর গ্রাম। চারদিকে ফসলের মাঠ। রেলবাজার থেকে খতবাড়ি অভিমুখে শাহপুর গ্রামের রাস্তার পাশে ইস্তার আলীর বাড়িতে অন্তত ১০টি এবং পাশাপাশি আবদুল মজিদ ও জাকির হোসেনের বসতবাড়ি ও বাড়ির ভেতরে আমগাছে ২০টি মৌচাক রয়েছে।
প্রায় ৬ মাস ধরে শাহপুর এলাকায় মৌচাকগুলো লেগেছে। এর মধ্যে মৌমাছির ভয়ে জাকির হোসেন বাড়ি ছেড়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বাস করছেন। অন্যদিকে শাহপুর পূর্বপাড়া গ্রামে প্রবাসী আকরাম হোসেনের বসতঘরের সামনে ও বাগান মিলিয়ে অনন্ত ১০টি মৌচাক লেগেছে। এক গ্রামে এতগুলো মৌচাক বসায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মৌমাছির দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে অনেক শিশুই ঘর থেকে বের হতে বা খেলাধুলা করতে পারছে না। ওই ৪টি পরিবার মধু সংগ্রহ করে নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি কিছু মধুবাজারে বিক্রি করলেও এলাকাবাসীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
শাহপুর গ্রামের আয়েন উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বলেন, মাঠগুলোতে সরিষাসহ নানা ফসল আবাদের কারণে এভাবে মৌমাছির আনাগোনা বেড়েছে। মৌচাকগুলো দেখে ভালোই লাগে। কিন্তু কখন কে ঢিল ছোড়ে আর মৌমাছিরা শিশু বা পথচারীদের কামড়ে দেয় এই আতঙ্কে থাকতে হয়।
প্রবাসী আকরাম হোসেনের স্ত্রী শিউলি খাতুন বলেন, প্রায় ৬ মাস ধরে মৌচাকগুলো লেগেছে। এর মধ্যে দুবার মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে দু-একটা মাঝে মধ্যে কামড় দিলেও মৌমাছিগুলো পরিবারের সদস্যের মতো হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বলেন, কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় মৌমাছির আনাগোনা বেড়েছে। এর আগে এই এলাকায় একসঙ্গে এতগুলো মৌচাক কখনই দেখা যায়নি। সত্যিই এটা বিস্ময়কর বলে জানান তিনি।
সান নিউজ/এসএ