নিজস্ব প্রতিবেদক : তৃতীয় ধাপে দেশের ৬০ পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারও প্রাপ্ত সবগুলো পৌরসভার ফলাফলে শাসকদল আওয়ামী লীগের প্রার্থীদেরই জয় জয়কার। তারা জিতেছে ৪৩টি পৌরসভায়। বিএনপি জয়ী হয়েছে মাত্র তিনটি পৌরসভায়। এছাড়াও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ১৪টি পৌরসভায়। এই ধাপে মোট ৬৩টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন তিন জন প্রার্থী। ফলে আওয়ামী লীগের টিকিটে জয়ী হয়েছেন মোট ৪৬ জন। এ ধাপেও মোট দুজন নারী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তারা শাসকদলের টিকিটে নির্বাচন করে জয়ী হন।
আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো বিভিন্ন পৌরসভার ফলাফল : ফেনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ফেনী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। বিএনপির প্রার্থী আলাল উদ্দিন আলালকে ৬৯ হাজার ৩০৯ ভোটে হারিয়েছেন তিনি। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে এই ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৩০৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আলাল উদ্দিন আলাল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৯৪৯ ভোট। ১৮টি ওয়ার্ডের মোট ৪৫টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা হয়। এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৯১ হাজার ৬৬২ জন। মোট ৭২ হাজার ৩৩৯ ভোটার ভোট দিয়েছেন, যা শতকরা হিসাবে ৭৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আ.লীগের প্রার্থী পুনর্নির্বাচিত
চাঁদপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জেলার হাজীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ স ম মাহবুব-উল-আলম লিপন মেয়র পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী পেয়েছেন ২৩ হাজার ২১২ ভোট। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আব্দুল মান্নান খান বাচ্চু পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৪৫ ভোট। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বেসরকারিভাবে এই ফলাফল জানা গেছে।
মণিরামপুরের মেয়র হলেন নৌকার প্রার্থী মাহমুদুল হাসান
যশোর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, যশোরের মণিরামপুরে পৌরমেয়র হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন কাজী মাহামুদুল হাসান। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কাজী মাহামুদুল হাসান নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৪ হাজার ১৯৬ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন (ধানের শীষ) পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৭০০ ভোট। এছাড়া, মেয়র পদে নির্বাচন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আবু তালেব পেয়েছেন ৪১৪ ভোট।
দর্শনায় নৌকার জয়
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র মতিয়ার রহমান পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১৭ হাজার ৭৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত হাবিবুর রহমান বুলেট পেয়েছেন এক হাজার ১৯৪ ভোট। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেদ ফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশকার আলী পেয়েছেন ৪৩৩ ভোট।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুর রহমান বুলেট ভোট বর্জন করেন।
সিংড়া পৌরসভায় জয় পেলেন আ.লীগের জান্নাতুল
নাটোর প্রতিনিধি জানান, নাটোরের সিংড়া পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফলে নৌকা বিজয়ী হয়েছে। নৌকা প্রতীক প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রার্থী তায়জুল ইসলামকে ১৭ হাজার ৯শ’ ৪২ ভোটে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আছলাম জানান, ভোট গণনায় নৌকা প্রতীকে জান্নাতুল ফেরদৌস পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪শ’৩৪ ভোট। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত তায়জুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৪শ’৯২ ভোট।
বগুড়ার ৫ পৌরসভায় আ.লীগ ২, বিএনপি ২, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ১
বগুড়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জেলার পাঁচ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই জন, বিএনপির দুই জন ও স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) একজন নির্বাচিত হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সহকারী রিটার্নিং অফিসাররা এ তথ্য দিয়েছেন।
বগুড়া নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, শিবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মানিক পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৩৯৮ ভোট। তার নিকটতম (নির্বাচন বর্জনকারী) বিএনপির মতিয়ার রহমান মতিন পেয়েছেন দুই হাজার ৩৬৬ ভোট।
নন্দীগ্রাম পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনিসুর রহমান মেয়র হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন সাত হাজার ৬৬৮ ভোট। তার নিকটতম বিএনপির সুশান্ত কুমার সরকার পেয়েছেন পাঁচ হাজার ১৮৮ ভোট।
ধুনট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বহিষ্কৃত এজিএম বাদশাহ (জগ মার্কা) তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন তিন হাজার ৯০৬ ভোট। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের প্রার্থী টিআইএম নুরুন্নবী তারিক পেয়েছেন তিন হাজার ১৫৫ ভোট।
কাহালু পৌরসভায় বিএনপির আবদুল মান্নান পাঁচ হাজার ২৪৫ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়র হেলাল উদ্দিন কবিরাজ পেয়েছেন চার হাজার ২৯৯ ভোট।
এছাড়া গাবতলী পৌরসভায় বিএনপির সাইফুল ইসলাম দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ছয় হাজার ৯৫৯ ভোট। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের মমিনুল হক শিলু পেয়েছেন পাঁচ হাজার ১১৫ ভোট।
নলছিটিতে আ.লীগের জয়
ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, দেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম পৌরসভা ঝালকাঠির নলছিটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল ওয়াহেদ কবির খান বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে জেলা রিটার্নিং অফিসার ওয়াহেদুজ্জামান মুন্সি নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন।
দুপুর ১২টায় এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, নৌকায় জোর করে প্রকাশ্যে সিল মারার অভিযোগে বিএনপি প্রার্থী মজিবর রহমান সাংবাদিকদের ফোন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। এছাড়াও সাড়ে ১১টায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ খান ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
রিটার্নিং অফিসার জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল ওয়াহেদ খান ১৪ হাজার ৫৬৪ ভোট পেয়েছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী শাহজালাল হোসেন পেয়েছেন ৯২৪ ভোট। বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মজিবর রহমান পেয়েছেন ৩৭৫ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র মোবাইল ফোন প্রতীকের প্রার্থী মাসুদ খান পেয়েছেন ৩২৮ ভোট।
বরগুনায় মেয়র মহারাজ, পাথরঘাটায় আনোয়ার
বরগুনা প্রতিনিধি জানান, বরগুনা পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ এবং পাথরঘাটা পৌরসভায় মেয়র হয়েছেন একই দলের আনোয়ার হোসেন আকন। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে বরগুনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার হাওলাদার এবং পাথরঘাটার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা নাসরিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বরগুনার কামরুল আহসান মহারাজ ৯ হাজার ২৯৭ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ছয় হাজার ৯০৩ ভোট। অন্যদিকে পাথরঘাটা পৌরসভায় মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন পেয়েছেন ছয় হাজার ৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহাবুবুর রহমান খান পেয়েছেন দুই হাজার ২৩২ ভোট।
গোবিন্দগঞ্জে বিপুল ভোটে জয়ী আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী
গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, জেলার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর চেয়ে দ্বিগুণের বেশি ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মুকিতুর রহমান রাফি। স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে নারিকেল গাছ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ১৪৯ ভোট। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কন্ট্রোল রুম থেকে রাফিকে মেয়র হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল মোতালিব।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, নারিকেল গাছ প্রতীকে মুকিতুর রহমান রাফি পেয়েছেন ১১ হাজার ১৪৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ফারুক আহমেদ ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৯৪ ভোট। এছাড়া অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৯ ভোট।
হাকিমপুরে পুনরায় আ.লীগ প্রার্থী চলন্তের জয়
হিলি প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরের হাকিমপুর পৌরসভার নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৮টায় হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষের হলরুমে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার কামরুল ইসলাম এই ফল ঘোষণা করেন।
কামরুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এনএএম জামিল হোসেন চলন্ত ১০ হাজার ৯৯২ ভোট পেয়েছেন। বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৬৩ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে মিশর উদ্দিন সুজন ৩১০ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীক নিয়ে সুরুজ আলী শেখ পেয়েছেন ২৩১ ভোট।
উলিপুর পৌরসভার নতুন মেয়র নৌকার মিঠু
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, জেলার উলিপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মামুন সরকার মিঠু নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন। প্রথমবার মনোনয়ন পাওয়া এই প্রার্থী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী হায়দার আলী মিঞা ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৪১৩ ভোট। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম রাকিব এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইলের পাঁচটি পৌরসভাতেই আ.লীগের জয়
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলের পাঁচটি পৌরসভাতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা এ ফলাফল ঘোষণা করেন। জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা এ.এইচ.এম কামরুল হাসান এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
টাঙ্গাইল পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী এসএম সিরাজুল হক আলমগীর বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৯৬৭টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মাহমুদুল হক সানু পেয়েছেন ১৯ হাজার ৬৬০ ভোট।
মির্জাপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালমা আক্তার শিমুল বিজয়ী হয়েছেন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১২ হাজার ৪৭৮ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে শফিকুল ইসলাম ফরিদ পেয়েছেন ২ হাজার ৯২৪ ভোট।
সখীপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু হানিফ আজাদ তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৩৩ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজিব জগ প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৫৪৪ ভোট। আর ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পেয়েছেন ৫১২ ভোট।
ভূঞাপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাসুদুল হক মাসুদ মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯হাজার ৪১৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের জাহাঙ্গীর হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১৩ ভোট। আর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আব্দুস সাত্তার জগ প্রতীকে পেয়েছেন ৩হাজার ৭০১ ভোট।
মধুপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সিদ্দিক হোসেন খান বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ২৫ হাজার ৯৯২টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আব্দুল লতিফ পান্না পেয়েছেন ১হাজার ৬৫১ ভোট। তবে আব্দুল লতিফ পান্না দুপুরেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
নড়াইল ও কালিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত
নড়াইল প্রতিনিধি জানান, নড়াইল ও কালিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার এ দুটি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, নড়াইল পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আঞ্জুমান আরা ১৯হাজার ৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জুলফিকার আলী মন্ডল পেয়েছেন ৪হাজার ৩শ ৬৪ভোট।
এদিকে কালিয়া পৌরসভায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. ওয়াহিদুজ্জামান হীরা ১২হাজার ২২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী
স.ম ওয়াহিদুজ্জামান মিলু পেয়েছেন ৬০৯ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন পেয়েছেন ১৪৮ ভোট।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও বরুড়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জয়
কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও বরুড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। চৌদ্দগ্রাম পৌরসভায় মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন জি এম মীর হোসেন মীরু। নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন ১৫ হাজার ৯’শ ২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী হারুনর রশিদ মজুমদার পেয়েছেন ১৮’শ ৮০ ভোট।
অপরদিকে বরুড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বকতার হোসেন ১৬ হাজার ২২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৫৩ ভোট।
কুমিল্লা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সিলেটের দুটি পৌরসভায় আ.লীগের বিদ্রোহীর জয়
সিলেট প্রতিনিধি জানান, সিলেটের জকিগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পরাজয় হয়েছে। শুধু পরাজয়ই নয়, মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতেই পারেন নি তারা।
জানা গেছে, শনিবার (৩০ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল ৫ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়ে ফের নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক মেয়র মোবাইল প্রতীকের জাকারিয়া আহমদ পাপলু পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৪৮ ভোট, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহীন পেয়েছেন ৪ হাজার ২২২ ভোট ও প্রথমবারের মত দলীয় মনোনয়ন পাওয়া আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী রুহেল আহমদ পেয়েছেন ১ হাজার ১৭৫ ভোট। ৯টি ভোটকেন্দ্রে ২২ হাজার ৯১৬জন ভোটারের মধ্যে এবারের নির্বাচনে ১৫ হাজার ৭৯৬জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলে ২৫৭ জনের ভোট বাতিল হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান।
অপরদিকে জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নারিকেল গাছ প্রতীকে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) আব্দুল আহাদ পেয়েছেন ২ হাজার ১০৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক (বহিষ্কৃত) ফারুক আহমদ জগ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৮৭ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসলামী সংগঠন আল ইসলাহর পৌর সভাপতি হিফজুর রহমান মোবাইল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৯৮৫ ভোট। জকিগঞ্জ পৌরসভায় মোট ভোটার ১২ হাজার ৩৪৮। এরমধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৯ হাজার ৭৪০ জন ভোটার। বাতিলকৃত ভোট হচ্ছে ২১৫।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জকিগঞ্জের উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদমান সাকিব।
চৌমুহনী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ও হাতিয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত
নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভায় স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) ও হাতিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
চৌমুহনী পৌরসভায় মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) নোয়াখালী-৩ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন এর বড় ভাই মো. খালেদ সাইফুল্লাহ মোবাইল প্রতীক নিয়ে ১৩ হাজার ৪ শত ১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র আক্তার হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০ হাজার ৯ শত ৩৬ ভোট। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনীত পৌর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ জহির উদ্দিন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৮ শত ৩১ ভোট ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মো. জাকির হোসেন হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯ শত ৪৭ ভোট।
চৌমুহনী পৌরসভা নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ রবিউল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
হাতিয়া পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কে এম ওবায়দুল্লা নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৬ হাজার ৯ শত ৯৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী কাজী আব্দুর রহিম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৮ শত ৫৫ ভোট।
হাতিয়া পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গৌরনদী ও মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভা জয়ী আ.লীগের প্রার্থীরা
বরিশাল প্রতিনিধি জানান, বরিশালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। গৌরনদী পৌরসভায় এবার নিয়ে পরপর তিনবার মেয়র নির্বাচিত হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারিছুর রহমান। মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভায়ও পরপর তিনবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক কামাল উদ্দিন খান।
শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা নুরুল আলম।
তিনি জানান, তৃতীয় ধাপে বরিশালের গৌরনদী পৌর নির্বাচনে নৌকা সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হারিছুর রহমান ২৩ হাজার ২৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান পেয়েছেন ৬৭৯ ভোট। সাজ্জাদ বেলা আড়াইটায় ৫টি অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করে নির্বাচন মাঠ থেকে সরে দাড়ান।
এ পৌরসভায় মোট ভোটার ছিল ৩৩ হাজার ৪শ’ ৮জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ৭শ’ ৯৯জন এবং ১৬ হাজার ৬শ’ ০৯ জন নারী ভোটার। ভোট পড়েছে ৭১ দশমিক ৯৬ ভাগ।
অন্যদিকে, মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী কামাল উদ্দিন খান ১০ হাজার ১৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের ইঞ্জিনিয়ার গাজী জাহাঙ্গীর হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৪৪১ ভোট এবং বিএনপি প্রার্থী জিয়াউদ্দিন সুজন পেয়েছেন ২ হাজার ৪২৮ ভোট।
এ পৌরসভায় মোট ভোটার ২৫ হাজার ৮শ’ ৮৮জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩ হাজার ১শ’ ৭৩জন এবং নারী ভোটার।
নওগাঁর ধামইরহাট নির্বাচনে আবারও জয়ী আওয়ামী লীগের আমিনুর রহমান
নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, নওগাঁর ধামইরহাট পৌরসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আমিনুর রহমান।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার সাজ্জাদ হোসেন জানান, নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী আমিনুর রহমান ৭৯৮৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মতো নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী চপল প্রাপ্ত ভোট পেয়েছেন ৩০৪৯। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নারিকেল গাছ মার্কা অ্যাডভোকেট আইয়ুব হোসেন পেয়েছেন ৩৬৩ ভোট। নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডের ৯টি কেন্দ্রে এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মোট ভোট ভোটার ছিল ১২ হাজার ৬৪০জন।
পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে আ'লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শরীফ উদ্দিন বিজয়ী
পাবনা প্রতিনিধি জানান, পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) শরীফ উদ্দিন প্রধান বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
পাবনা সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মাহবুবুর রহমান শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি, স্বতন্ত্র প্রার্থী নারিকেল গাছ প্রতীকের শরীফ উদ্দিন প্রধান ২৭ হাজার ৯৬৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮৪৭ ভোট।
এছাড়াও এই নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী নুর মোহাম্মদ মাসুম বগা পেয়েছেন ৭ হাজার ৫০৪ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী চৌধুরী মোহাম্মদ মাহাবুবুল হক রাজন পেয়েছেন ২৭৬ ভোট ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক পেয়েছেন ১৬৫৯ ভোট।
উল্লেখ্য, পাবনা পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের ৩৯টি ভোট কেন্দ্রের ৩৪৬টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ১ লাখ ১২ হাজার ২৪৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ পুরুষ কাউন্সিলর পদে ৭৪ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
হরিণাকুণ্ডু পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও কোটচাঁদপুর আ.লীগ বিদ্রোহী জয়ী
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, জেলার হরিণাকুণ্ডু ও কোটচাঁদপুর পৌরসভায় নির্বচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে হরিণাকুণ্ডেু পৌরসভায় জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফারুক হোসেন ও কোটচাঁদপুর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোবাইল প্রতীক নিয়ে শহিদুজ্জামান সেলিম।
হরিনাকুন্ডু পৌরসভায় নৌকার প্রার্থী ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৭ হাজার ৩’ শ ৪৭ ভোট। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিক জগ প্রতিকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৯’শ ১৩ ভোট। অন্যদিকে কোটচাঁদপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুজ্জামান সেলিম পেয়েছেন ৮ হাজার ৩’শ ৪২ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীর্ষের প্রার্থী সালাউদ্দিন বুলবুল সিডল পেয়েছেন ৭ হাজার ১’শ ২৮ ভোট।
কলারোয়া পৌরসভায় মেয়র নৌকার বুলবুল
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুল মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৬৯টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক মেয়র আক্তারুল ইসলামের স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী জগ প্রতীকের নার্গিস সুলতানা পেয়েছেন ১ হাজার ৬২৮ ভোট। অপর প্রার্থী বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকের শেখ শরীফুজ্জামান তুহিন পেয়েছেন ৫০৫ ভোট। আর আগে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানো দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবাইল ফোন প্রতীকের সাজেদুর রহমান খাঁন চৌধুরী মজনু পেয়েছেন ৮৩ ভোট ও সাবেক মেয়র আক্তারুল ইসলাম পেয়েছেন ৬ ভোট।
স্বরূপকাঠিতে আ.লীগ প্রার্থী মো. গোলাম কবির জয়ী
পিরোজপুর প্রতিনিধি জানান, পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো.গোলাম কবির আবারও মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৩ হাজার ৯শ’ ৫২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) মো. মাহামুদুর রহমান খান (মোবাইল ফোন) পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪৯ ভোট। রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবি শাহানুর খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিজয়ী মো. গোলাম কবির স্বরূপকাঠী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি।
মুন্সীগঞ্জে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র আ. লীগের মোহাম্মদ ফয়সাল
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ২৭ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিজয়ী হয়েছেন।
তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ২ হাজার ৬০৪ ভোট।
শনিবার রাতে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আরিফুল হক ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাত পাখা প্রতীকের আব্দুর রাজ্জাক হোসেন পেয়েছেন ৮৭৯ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী নারিকেল গাছ প্রতীকের অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান পেয়েছেন ৭৯৫ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবাইল প্রতীকের এম এ কাদের মোল্লা পেয়েছেন ২৯৮ ভোট। বাতিল হয়েছে ৫৬৩ ভোট। মোট বৈধ কাস্টিং হয়েছে ৩১ হাজার ৮৫২ ভোট।
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভায় মোট ভোটার ৫৩ হাজার ৩৭৪ ভোট।
রাজশাহীর কেশরহাটে আওয়ামী লীগ, মুণ্ডামালায় আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীর জয়
রাজশাহী প্রতিনিধি জানান, রাজশাহীর দুই পৌর নির্বাচনের মধ্যে মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহিদুজ্জামান শহিদ এবং তানোর উপজেলার মুন্ডুমালায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্রপ্রার্থী সাইদুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।
মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার জয় হয়েছে। টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শহীদুজ্জামান শহিদ। এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ ভোট পেয়েছেন ১০ হাজার ৯১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ধানের শীর্ষের প্রার্থী প্রভাষক খুশবর রহমান ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৩২৫ ভোট। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান আকন্দ তার জগ প্রতীকে ভোট পেয়েছেন এক হাজার ২৭০ ভোট। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সানওয়ার হোসেন।
কেশরহাট পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৭৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৬৮১ জন এবং নারী ভোটার ৮ হাজার ৯৬ জন। পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে চারটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমান জগ প্রতীকে ৫ হাজার ৪৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পৌরসভার আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে আমির হোসেন আমিন পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৯৮ ভোট। বিএনপির ফিরোজ কবীর ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৮১ ভোট।
৬১ ভোটের ব্যবধানে দলীয় প্রার্থীকে হারিয়ে তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুর রহমান। তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহতো এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মুন্ডুমালা পৌরসভায় ৩ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
তৃতীয়বারের মতো পাইকগাছা পৌর মেয়র হলেন আওয়ামী লীগের সেলিম জাহাঙ্গীর
খুলনা প্রতিনিধি জানান, পাইকগাছা পৌরসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকাল থেকেই দিনভর সাধারণ ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেন। এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বেশি হওয়ায় বেশির ভাগ ভোটারকে দীর্ঘসময় লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হয়। নির্বাচন শেষে প্রাপ্ত বেসরকারি ফলাফলে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিম জাহাঙ্গীর নৌকা প্রতীকে ৮ হাজার ৩৬৫ ভোট পেয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিবি’র অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার মন্ডল কাস্তে প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৬২৩ ভোট।
নওগাঁ পৌরসভার মেয়র হলেন বিএনপির নজমুল হক সনি
নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, নওগাঁ পৌরসভা নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি প্রার্থী নজমুল হক সনি। পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মাহমুদ হাসান জানান, বিজয়ী বিএনপির প্রার্থী নজমুল হক সনি পেয়েছেন ২৯ হাজার ২৬৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নির্মল কৃষ্ণ সাহা পেয়েছেন ২৪ হাজার ৯৪৪ ভোট।
অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল নারিকেল গাছ মার্কায় ভোট পেয়েছেন ১২ হাজার ৪৩৫ ভোট, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন প্রার্থী আতিকুর রহমান হাত পাখা মার্কায় ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৬৬ ভোট এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল মার্কায় ভোট পেয়েছেন ৪০৯ ভোট। নওগাঁ পৌরসভার মেয়র পদে ৫জন প্রার্থী ছিলেন।
সরিষাবাড়ীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনির উদ্দিন জয়ী
জামালপুর প্রতিনিধি জানান, জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনির উদ্দিন নৌকা প্রতীকে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
সরিষাবাড়ী উপজেলা রিটার্নিং অফিসার মো. মাকসুদ আলম জানান, সরিষাবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনির উদ্দিন নৌকা প্রতীকে ২৭ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী মো. ফয়জুল কবীর তালুকদার শাহীন পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৭১ ভোট।
ময়মনসিংহে একটিতে আওয়ামী লীগ, দুইটিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহীরা জয়ী
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানান, তৃতীয় ধাপের পৌরসভা সাধারণ নির্বাচনে ময়মনসিংহের একটিতে আওয়ামী লীগ ও দুইটিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন। সকাল আটটা থেকে ভোট শুরু হয়ে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে গণনা করা হয় এরপরই এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
জেলা রিটার্নিং অফিসার দেওয়ান সারওয়ার জাহান জানান, ভালুকা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ডাক্তার এ কে এম মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম ১৩ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত হাতেম খান পেয়েছেন ৪ হাজার ১০৯ ভোট।
গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ রফিকুল ইসলাম ৭ হাজার ৮৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত শফিকুল ইসলাম হবি পেয়েছেন ৭ হাজার ২৬৬ ভোট । ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সাত্তার ৯ হাজার ৩৭ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৬০ ভোট।
নালিতাবাড়ী ও নকলা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীরা জয়ী
শেরপুর প্রতিনিধি জানান, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও নকলা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক ও হাফিজুর রহমান লিটনকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শানিয়াজ্জামান তালুকদার জানান, নালিতাবাড়ী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক (নৌকা) ১২ হাজার ৯৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী সাবেক মেয়র মো. আনোয়ার হোসেন (ধানের শীষ) পেয়েছেন ২ হাজার ৪২৩ ভোট।
নকলা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন (নৌকা ) ১২ হাজার ৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান (নারিকেল গাছ) পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৫০ ভোট, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. এনামুল হক রিপন (ধানের শীষ) পেয়েছেন ২ হাজার ৯৮৫ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আনার (জগ) পেয়েছেন ৩২৬ ভোট।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট চলে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এই দুই পৌরসভায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়। ভোট শান্তিপূর্ণ করতে দুই পৌরসভায় ৩ শতাধিক করে পুলিশ, র্যাব, ও আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
ভোলার বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখানে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর হ্যাট্রিক বিজয়
ভোলা প্রতিনিধি জানান, বেসরকারি ফলাফলে ভোলার বোরহানউদ্দিন পৌরসভায় নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন, আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম। জেলা রিটার্নিং অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তিনি ৭ হাজার ১০৪ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী ছিলেন ধানের শীষ প্রতীকের মো. মনিরুজ্জামান কবির। তিনি পেয়েছেন ৬৬৮ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সালাম পেয়েছেন ২৪১ ভোট।
অপরদিকে দৌলতখানে আওয়ামী সমর্থিত আরেক প্রার্থী মো. জাকির হোসেন তালুকদার ৫ হাজার ৮৩০ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচত হন। তার নিকটতম বিএনপি দলীয় প্রার্থী আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৮৪০ ভোট। রিটার্নিং অফিসার মো. আলাউদ্দিন আল মামুন বেসকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলার রহনপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মতিউর রহমান খান মতি ৭ হাজার ৬২৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী পেয়েছেন ৭ হাজার ৬২ ভোট। জেলা রিটার্নিং অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী পৌরসভায় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শওকত উসমান শুক্কুর আলী। বেসরকারি ফল অনুযায়ী, তিনি ১৩ হাজার ৩৪৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন খান দিলীপ পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৯৫ ভোট।
কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আকতারুন্নেছা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ একটি, দলীয় বিদ্রোহী অপর দুটিতে জয়ী
শরীয়তপুর সংবাদদাতা জানান, জেলার নড়িয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয় পেলেও ভেদরগঞ্জ ও জাজিরা পৌরসভায় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন জানান, নড়িয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ১২ হাজার ৮৭৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ রিন্টু পেয়েছেন ৪৯৪ ভোট।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন জানান, ভেদরগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল বাশার চৌকদার জগ প্রতীক নিয়ে আট হাজার ৮৮৬ ভোট বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মান্নান হাওলাদার পেয়েছেন দুই হাজার ৩৩৮ ভোট।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন জানান, জাজিরা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস মাদবর ছয় হাজার ৬০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুল হক কবিরাজ পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৭৭৩ ভোট।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী
লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা জানান, রামগঞ্জ পৌরসভায় আবার নৌকা প্রতীক নিয়ে আবুল খায়ের পাটওয়ারী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১৬ হাজার ২৫৭ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু পেয়েছেন এক হাজার ৯৮০ ভোট।
মৌলভীবাজারে আবারও জয়ী আ.লীগের ফজলুর রহমান
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জানান, মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফজলুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৬৯৭ ভোট । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মো. অলিউর রহমান পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৩৩ ভোট।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলে। পৌরসভার ১৮টি কেন্দ্রে চলে এই কার্যক্রম।
এবার মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ২ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
মৌলভীবাজার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক ও আইসিটি) মো.মামুনুর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রাজবাড়ীর পাংশায় জয়ী আওয়ামী লীগের মো. ওয়াজেদ আলী
রাজবাড়ী সংবাদদাতা জানান, পাংশা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. ওয়াজেদ আলী মন্ডল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি ১১ হাজার ১৬১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফজলুল হক ফরহাদ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৪৩ ভোট। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মো. রইচ উদ্দীন খান ১ হাজার ৮৫৬ ভোট পেয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মাসুদুর রহমান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে জয়ী আ.লীগের মো. আলাউদ্দিন আলাল
নেত্রকোনা সংবাদদাতা জানান, নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌর নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় যুক্ত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলাউদ্দিন আলাল। আলাউদ্দিন আলাল নৌকা প্রতীক পেয়েছেন ১১ হাজার ১২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামাল উদ্দিন ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন ১ হাজার ৮৯৯ ভোট।
জলঢাকায় জয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বাবলু
নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, জেলার জলঢাকায় পৌরসভার নির্বাচনের আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মো. ইলিয়াস হোসেন বাবলু মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নারিকলে গাছ প্রতীক নিয়ে ১৪ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি প্রার্থী বর্তমান মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট। তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ১০ হাজার ৬০৮ ভোট পান।
ভোটের আগেই তিনজন জয়ী: ভোট নেওয়ার আগেই বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আওয়ামী লীগের এসএম মনিরুল হক তালুকদার, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল ও কুমিল্লার লাকসামে আওয়ামী লীগের অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় স্থগিত থাকা একটি কেন্দ্রে শনিবার ভোটগ্রহণ করা হয়। ওই কেন্দ্রের ফলসহ মোট ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. পারভেজ মিয়া আবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২১ হাজার ৮২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. ইসরাইল মিয়া পেয়েছেন ২০ হাজার ৯৫৪ ভোট।
সান নিউজ/এসএম