মাসুম লুমেন, গাইবান্ধা : পৌরসভা নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে শনিবার (৩০ জানুয়ারি) গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
ভোটের আগে ও পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নেয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে সকল ভোট কেন্দ্রে ভোটের যাবতীয় উপকরণ নিয়ে কর্মকর্তারা পৌঁছে গেছেন। ব্যালট পেপার ভোট কেন্দ্রে পৌঁছে দিবে স্থানীয় প্রশাসন।
শনিবার সকাল ৮টা হতে বিরতীহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এদিকে, নির্বাচন উপলক্ষে ভোট কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও বিজিবি'র পাশাপাশি আইনগত সহায়তা ও নির্দেশনা প্রদানের জন্য মোবাইল কোর্ট আইন ২০১৫-এর আওতায় ভোট কেন্দ্রগুলোতে ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন। এছাড়াও ১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সার্বিক সহযোগিতায় থাকবেন। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ৮ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া পুলিশের ৪টি ও র্যাবের ৩টি মোবাইল টিম কাজ করবে। পুলিশের ৯টি স্টাইকিং টিম সার্বক্ষণিক টহল প্রদান করবে এবং ২ প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত থাকবে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য ১৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৯২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ১৮৪ জন পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, স্বতন্ত্র (আ’লীগ ‘বিদ্রোহী’) প্রার্থীসহ ৫ জন মেয়র, ১২ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর এবং ৩৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দীর্ঘদিন স্থগিত থাকা এ পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে একেএম জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মুতিকুর রহমান রাফি (নারিকেল গাছ) বিএনপি ফারুক আহমেদ (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আনিছুর রহমান (হাতপাখা) ও মোছা. জহুরা খাতুন (মোবাইল ফোন) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১৫টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ হাজার ৯শ ৭৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ১৪ হাজার ৬শ ৭৪ জন ও নারী ভোটার রয়েছেন ১৫ হাজার ৩শ ৫ জন।
সান নিউজ/কেটি