শরিফুল, নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের কালিয়া পৌর নির্বাচন থেকে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন সরে দাড়ালেন।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দেন। ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন বলেন, দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির নির্দেশে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাড়াচ্ছি।
শনিবার ( ৩০ জানুয়ারি) শনিবার নড়াইল ও কালিয়া পৌরসভায় এই প্রথম আওয়ামীলীগে বিদ্রোহী প্রার্থীমুক্ত নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনিত প্রার্থীর নৌকা প্রতিকে সবাইকে ভোট দেওয়ার আহবানও জানান তিনি।
এ সময় নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি,সাবেক মেয়র এমদাদুল হক টুকুসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কালিয়া পৌরসভায় আওয়ামীলীগের ওয়াহিদুজ্জামান হিরা নৌকা প্রতিক এবং বিএনপির মনোনিত স.ম ওয়াহিদুজ্জামান মিলু ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন।
এর আগে কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় সাংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির স্ত্রী চন্দনা হকসহ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সমর্থকদের নামে মামলা হয়। গত বুধবার রাতে ৬৫ জনকে আসামী করে ওই মামলা করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ওয়াহিদুজ্জামান (হীরা)।
সেখানে ৩/৪টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটনা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১টার দিকে কালিয়া শহরের বড়কালিয়ার ঘোষপাড়ায় নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কার্যালয়ে নৌকার প্রতিকৃতি পুড়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে দুটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু ও দুটি দা উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির স্ত্রী চন্দনা হকসহ ৭জনকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি নড়াইল পৌরসভার নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান বিদ্রোহী প্রার্থী সরদার আলমগীর হোসেন আলম।
সান নিউজ/শরিফুল/এসএ