নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে বরখাস্ত ও দুই শিক্ষককে অপসারণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের ব্যানারে ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রতিবাদ সমাবেশ।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- এনভারোমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের ড. আব্দুলাহ হারুন চৌধুরী এবং একই ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার দত্ত, স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক আফরোজা পারভীন, ইংরেজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মো. নূরুজ্জামান, অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ, একই ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক তাসনিম মুরাদ মামুন, বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক ইমরান কামাল এবং মৌমিতা রায়।
এসময় বক্তারা বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত শিক্ষক সমিতি আজ উপাচার্যকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিতে ব্যস্ত। সাধারণ শিক্ষকদের ব্যাপারে তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। আমরা জানতাম কাক কাকের মাংস খায় না। কিন্তু বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ চর্চাটা নিয়মিত হচ্ছে। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম শিক্ষক সমিতি থেকে কোনো লিখিত বক্তব্য আসবে, যেমনটা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে দিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একজন প্রশাসক হলেও তিনি তো একজন শিক্ষক। তিনি কিভাবে কয়েকজন শিক্ষকের মানহানি সহ্য করছেন। বক্তারা উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সিন্ডিকেট যদি সব সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাহলে আপনি সাধারণ শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ান এবং মানহানির প্রতিবাদ করুন।
বক্তারা আরো বলেন, এ প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে প্রশাসনকে জানাতে চাই, যদি অবিলম্বে এ বহিষ্কারাদেশ ও অপসারণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে আমাদের আন্দোলন চলবে, এবং পরবর্তীতে আরো কর্মসূচি আসবে।
এছাড়া এ সমাবেশে শিক্ষকদের সাথে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন- আইনজীবী কুদরতি খুদা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্যানেল আইনজীবী মহসীন।
এদিকে, দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে একই দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় দুই শিক্ষার্থীর সাজা মওকুফ নয়, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে বলে দাবি জানায় তারা।
এসময়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ভিসি স্বজনপ্রীতি আর নিয়োগ বাণিজ্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করেছেন তদন্ত কমিটি তো তার বিরুদ্ধে হওয়া উচিত, তা না করে কেন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে এই বহিষ্কার আদেশ দেওয়া হলো। আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনে সমর্থন দেয়া তিন শিক্ষককে বরখাস্ত ও অপসারণ করা হয়। তাদের এই শাস্তি ইঙ্গিত দেয় পরবর্তীতে কেউ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালে তাদেরকেও বরখাস্ত করা হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, অবিলম্বে শিক্ষকদের বরখাস্ত ও অপসারণের সিদ্ধান্ত এবং দুই শিক্ষার্থীর সাজা মওকুফ নয় বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
সান নিউজ/কেএ/কেটি