নিজস্ব প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও অবশেষে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিকেল ৩টায় তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন জানান।
এরপূর্বে দুপুরে শহরের রিভারভিউ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে সমর্থদের নিয়ে এক সংক্ষিপ্ত বৈঠকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেলের এমন ঘোষণায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন হাজারো সমর্থক।
জেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল তার বক্তব্যে বলেন, আমি আওয়ামী লীগে ছিলাম, থাকবো। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁওয়ে যাকে এই নৌকা প্রতীক মনোনয়ন দিয়েছে আমরা সকলে সে প্রার্থীকে বিজয়ী করতে প্রাণপন চেষ্টা করবো।
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে আপেল বলেন, আমি জানি আপনারা আমাকে সকলেই ভালোবাসেন বলেই আজ আপনারা প্রত্যাহারের এ ঘোষণা মেনে নিতে পারছেন না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নৌকার বিরুদ্ধে কোন কাজ করা যাবে না।
নৌকা আমাদের দলীয় মার্কা, নৌকাকে আমরা ভালোবাসি। ঠাকুরগাঁওয়ে যে মনোনয়ন পেয়েছে আপনারা তাকে না দেখে নৌকা মার্কাটিকে দেখে পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। উন্নয়নের কথা ভাবতে গেলে নৌকার বিকল্প নেই।
জনগণের সকল প্রত্যাশা পূরণের আশ্বাস দিয়ে আপেল বলেন, পৌরসভায় যেই মেয়র হোক না কেন। যদি নির্বাচিত মেয়র জনগনের সাহায্য না করে আমি আপেল যতদিন বেঁচে থাকবো আমি আপনাদের সাহায্য করে যাবো।
আকবর আলী নামে এক সমর্থক বলেন, অনেক ইচ্ছে ছিলো আপেল ভাইকে ভোট দিয়ে মেয়র বানাবো। তিনি প্রতিটি সময় সাধারণ মানুষেরা পাশে ছিলেন। কিন্তু নেত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু নৌকা অন্য আরেকজনকে মনোনয়ন দিয়েছে সেক্ষেত্রে বলার কিছু নেই। আজ আপেল ভাই নৌকাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে সম্মান করে নিজের ইচ্ছেকে বিসর্জন দিলেন।
আম্বিয়া বেগম নামে আরেক সমর্থক বলেন, আব্দুল মজিদ আপেল প্রতিটি সময় আমাদের কথা ভাবেন। করোনার সময় তিনি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ দিয়েছেন। বন্যার সময় তিনি সবার আগে আমাদের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। এমন কাজ আর কয়জনে করে। আমরা সকলে এই নেতাকে আমাদের পৌরসভার মেয়র হিসেবে দেখতে চেয়েছিলাম। আমাদের সে ইচ্ছা ভেঙ্গে গেলো।
এ সময় জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/বিআই/কেটি