নিয়ামুল আকঞ্জি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নদীর তীরবর্তী নবীনগর, আশুগঞ্জ ও নাসিরগর উপজেলার বেশ কিছু স্থানে ছোট-বড় হাঁসের খামার গড়ে উঠেছে। তিতাস ও মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা চর ও নদীর তীরবর্তী এলাকায় প্রাকৃতিক খাবারের সহজলভ্যতা ও খোলামেলা জায়গায় ব্যবস্থাপনা ভালো হওয়ায় হাঁসের খামার করে অনেকে বেশ লাভবান হচ্ছেন।
এতে খামারিরা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন। খামারের দৈর্ঘ্য ও আকৃতি ভেদে সর্বনিম্ন ৫শ থেকে সর্বাধিক ৪০০০/৫০০০ হাজার পর্যন্ত হাঁস রয়েছে একেকটি খামারে। হাঁস পালন লাভজনক একটি ব্যবসা হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় গত ৫-৭ বছর আগ থেকে এখানে শুরু হয় হাঁসের খামার।
আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর পাড়ে চরসুনারামপুর এলাকায় বর্তমানে ১০/১২ টি খামারে রয়েছে। আর ১২/১৫ হাজার হাঁস নিয়ে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি খামার। কম পুঁজিতে বেশি লাভ হওয়ায় খুব অল্প দিনের মধ্যেই ঐসব এলাকায় খামার সংখ্যা বাড়তে থাকে।
এসব খামারে পালিত হাঁস ও ডিম স্থানীয় এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। খামারের মালিক সামসু মিয়া ও ছিদ্দিক ভূইয়া জানান, নদীর তীরবর্তী এলাকায় একজনের খামার দেখে আরেকজন এ ব্যবসায় আসছেন।
পুঁজি অনুপাতে সঠিক ভাবে ডিম দিলে এটা অনেক লাভজনক ব্যবসা। বিশেষ করে হাঁসের ডিমের চাহিদা বেশি থাকায় বাজার দাম ভাল পাওয়া যায়। শামুক গুড়া, ভূষি ও চালের খুঁদ, কোড়া এসব খাবার হলো হাঁসের প্রধান খাদ্য।
বর্তমানে হাঁসের খাদ্য সামগ্রীর দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভ আগের মত হচ্ছে না।তারপর হাঁসের খামার করে অনেকেই আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।তবে প্রাতিষ্ঠানিক অভিজ্ঞতা কম থাকায় ডাগ, প্লেগ ও রানীক্ষেত কখন দেখা দেয় তা অনেক খামারি বুঝতে পারেন না। এসব রোগের টিকা ও ওষুধ কীভাবে দিতে হয় তাও আমরা জানি না।
তা ছাড়া পশু ডাক্তাররা যদি সময় মতো টিকা বা পরামর্শ দিতেন, তাহলে খামারিরা বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেত। তখন খামার থেকে অনেক লাভবান হতো। বার্ড-ফ্লু আক্রান্ত হওয়ার কারণে মাঝে মধ্যে বিপুল পরিমাণে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে খামারিদের।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানায়, হাঁসের খামার করতে কি কি নিয়ম বা কার্যক্রম আছে তা অনেক খামারিরা জানে না। আমরা খামারিদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছি এবং সব সময় সহযোগিতা ও তদারকি করে আসছি।
সান নিউজ/এনএ