নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : অবশেষে বদলি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মাসুদুল হাসান তাপস। বুধবার (২০ জানুয়ারি) তাকে বরগুনা জেলায় বদলি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
করোনাভাইরাসের দুর্যোগকালীন সময়ে গরিব ও অসহায়দের জন্য সরকারের দেয়া ওএমএস কার্ডের তালিকায় স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনদের নাম ওঠানোর ঘটনায় বিতর্কিত হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহ আলমকে সমাজসেবার সম্মাননা দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাসুদুল হাসান তাপস।
গত ২ জানুয়ারি সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ‘বিতর্কিত’ শাহ আলমকে সম্মাননা দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা শুরু হলে কোন প্রক্রিয়ায় সম্মাননার জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়েছে- সেটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য গত ৩ জানুয়ারি উপ-পরিচালক মাসুদুল হাসান তাপসকে চিঠি দেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান।
পরবর্তীতে মাসুদুল হাসান তাপসের দেয়া লিখিত ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় ‘বিতর্কিত’ শাহ আলমকে সম্মাননা প্রদানে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দেন জেলা প্রশাসক। ওই চাঠিতে শাহ আলমকে সম্মাননা প্রদানে দাপ্তরিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি বলে উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের দুর্যোগকালীন সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের গরিব-অসহায়দের জন্য সরকারের দেয়া ওএমএস কার্ডে শাহ আলমের স্ত্রী মোছাম্মৎ মমতাজ আলম ও মেয়ে আফরোজাসহ স্বজনদের নাম ওঠানো হয়। শাহ আলম নিজেই ওই ওয়ার্ডের ওএমএসের ডিলার ছিলেন।
পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে তুমুল সমালোচনার মুখে গত বছরের ১৩ মে শাহ আলমের ওএমএস ডিলারশিপ বাতিল করা হয়।
সান নিউজ/এনআই/কেটি