নিজস্ব প্রতিনিধি, বান্দরবান : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাঁড়ি সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে মাদক চোরা কারবারিদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ঘটনাস্থলে এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজিবি ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) ভোরে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি সীমান্ত পথে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির দুটি দল অভিযান চালায়। এসময় বাংলাদেশ-মিয়াননমার সীমান্তের ৩৬ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছাকাছি এলাকায় বিজিবি সদস্যরা পৌঁছালে মাদক চোরা কারবারিরা বিজিবি টার্গেট করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালালে দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় গোলাগুলিতে বিজিবির একজন জোয়ানও আহত হয়। নিহত হয় মাদক চোরা কারবারি চক্রের এক সদস্যও।
নিহতের নাম মো. আব্দুর রহিম (২৫)। সে উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রিত শরণার্থী। তার পিতার নাম ওবায়দুল হক। পরে বিজিবির অভিযানে ঠিকতে না পেরে মাদক চোরা কারবারিরা পাহাড়ি পথে পাহাড়ের অরণ্যে পালিয়ে যায়। অভিযানের পর বিজিবি ঘটনাস্থল থেকে ১টি দু'নলা বন্দুক, ৪ রাউন্ড গুলি এবং ৫০ হাজার পিস নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে। জব্দ করা মাদকের বাজার মূল্য আনুমানিক ১২ কোটি টাকা বলে জানাগেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজিবি ৩৪ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, বিজিবির অভিযানে মাদক চোরা কারবারির গুলিতে এক বিজিবি সদস্য আহত হয়। বন্দুকযুদ্ধে এক মাদক কারবারিও মারা গেছে। অভিযানে একটি বন্দুক, চার রাউন্ড গুলি ও ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সঙ্গে মাদক চোরাকারবারীদের গোলাগুলি হয়। এতে এক মাদক চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়। নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সান নিউজ/এআর/কেটি