নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক ও দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কারসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে খুলনার সচেতন নাগরিক ও সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) নগরীর শিববাড়ি মোড়ে এ মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এই সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. বাহারুল আলম, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির মফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির এস এম শাহাদাত হোসেন ও এস এ রশিদ, খুলনা জেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সঞ্জিত মন্ডল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন পরিষদের সৌমিত্র সৌরভ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের আলামিন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ফরহাদ হাসান রাজ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের পলাশ, সচেতন নাগরিক নেতা মহসিন, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান হাবিব এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এসময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অরাজকতা চলতে দেওয়া যায় না। ঘটনা ঘটেছে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে, তার শাস্তি কেন হবে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে!! আমরা ছাত্রদের পাঁচ দফা দাবিতে অন্যায় কিছু দাবি করেনি। আপনারা তাদের নিয়ে বসেন, আলাপ আলোচনা করেন, তার জন্য তো এতো বড় শাস্তি দিতে পারেন না। প্রতিটি গণতান্ত্রিক দাবিতে ছাত্ররা এগিয়ে এসেছে এবং আসবে। ভিসিসহ প্রশাসন কে বলতে চাই, ছাত্ররা প্রতিটি বিষয়ে কথা বলবে, কিন্তু তাদের বক্তব্য যদি ভিসির বিরুদ্ধে যায় তার মানে এমন না তিনি বহিষ্কার করবেন। এই নীল নকশা আমরা বাস্তবায়িত হতে দেবো না। শুধু আমরা নয়, পুরো খুলনাবাসী সম্মিলিতভাবে এর প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।”
এ সময় বক্তারা আরো বলেন, “অনেকদিন ধরেই এমন পরিস্থিতি চলে আসছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নাই কিন্তু এখানে অপরাজনীতি রয়েছে। শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক বহিষ্কারের মতো এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনারও প্রতিবাদ করেন এবং অনতিবিলম্বে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে দুই শিক্ষার্থীকে ক্লাসে যাওয়ার সুযোগ এবং শিক্ষকদের স্ব স্ব পদে বহাল রাখার অনুরোধ জানায়।
মানববন্ধনে শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কমনা করা হয়।
এদিকে, খুলনা ছাত্রলীগের পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতারা বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশের একমাত্র রাজনীতি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। সে কারণেই ছাত্রলীগ কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিষয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করে না। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের অনেক ত্যাগের ফসল। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ থেমে থাকবে না। ছাত্রলীগ মনে করে বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধ্যন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোন অপরাধের শাস্তি বিধান ও প্রত্যাহারের জন্য সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই ছাত্রদ্বয় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে এই সমস্যার সমাধান সহজতর হতো বলে আমরা মনে করি।
সান নিউজ/কেএ/কেটি