নিজস্ব প্রতিনিধি, নড়াইল : ঝিনাইদহের এইড ফাউন্ডেশন ও স্থানীয় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা) এর প্রতিনিধি সংগঠন স্বাবলম্বী’র যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধের' সচেতনতায় নড়াইল পৌরসভায় ৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তায় ধূমপান বিরোধী রোড পেইন্টিং ও বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) ‘সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়, ব্যবহার ও প্রচারণা নিষিদ্ধ’ প্রচারণার অংশ হিসেবে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নড়াইল টেকনিক্যাল কলেজ ও স্কুল, আব্দুল হাই সিটি কলেজ ও পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোড পেইন্টিং ও বোর্ড স্থাপন করা হয়।
নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ‘রোড পেইন্টিং ও বোর্ড স্থাপন’এর উদ্বোধন করেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ছায়েদুর রহমান। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহিতোষ কুমার দে, অন্যান্য শিক্ষক ছাত্রদের উপস্থিতিতে জেলা শিক্ষা অফিসার স্কুল ক্যাম্পাস ধুমপান বিরোধী বোর্ড স্থাপন করেন।
এইড ফাউন্ডেশন এর তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় স্বাবলম্বী সংস্থার সযোগিতায় নড়াইল টেকনিক্যাল কলেজ ও স্কুলের সামনে ‘রোড পেইন্টিং ও বোর্ড স্থাপন’এর উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ মীর মুস্তাক মাহমুদ। এ সময় কলেজের শিক্ষক ও ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দের উপস্থিতিতে স্কুল ক্যাম্পাস ধুমপান বিরোধী বোর্ড স্থাপন করা হয়।
আব্দুল হাই সিটি কলেজের সামনে ‘রোড পেইন্টিং ও বোর্ড স্থাপন’এর উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান মল্লিক। এসময় নড়াইল পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজী জহিরুল হক তার স্কুল ধুমপানমুক্ত রয়েছে এবং ভবিষ্যতে তা অব্যহত রাখার ঘোষণা দেন।
একই দিনে এসব কর্মসূচির সাথে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাটা প্রতিনিধি সংস্থা নড়াইলের স্বাবলম্বী’র পরিচালক কাজী আনিসুজ্জামান, এইড ফাউন্ডেশন এর অত্র প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দীন বিশ্বাস, স্বাবলম্বীর ভলেন্টিয়ার স্টুডেন্ট রুবেল হোসেন, নাঈমসহ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষকগণ।
উল্লেখ্য, খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার সদর পৌরসভায় ঝিনাইদহের এইড ফাউন্ডেশন এর তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পটি বাটা প্রতিনিধি সংগঠনের সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় নড়াইল পৌরসভায় গত মার্চে’২০ মাসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সার্ভে করে ৩৮৬টি তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় হয় এমন দোকান সমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে। এ সার্ভের রিপোর্টটি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, পৌরসভার মেয়রের নিকট হস্তান্তরও করা হয়েছে।
এ সার্ভে রিপোর্টে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কি কি লঘ্ন হচ্ছে, যা দেখে আইন প্রয়োগ দ্রুত সম্ভব হয়। এছাড়া একটি পর্যায় পৌরসভাসমূহ প্রতিটি তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় করে এমন দোকানগুলিকে একটি লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ার মধ্যে এনে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
সান নিউজ/এসআই/কেটি