নিজস্ব প্রতিনিধি, দিনাজপুর : এইচএসকোড নিয়ে জটিলতা কাটিয়ে চারদিন বন্ধ থাকার পর আবারো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়। এর আগে বুধবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। এর আগে সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পর দীর্ঘ দেড়বছর পর গত ৯ জানুয়ারি শনিবার থেকে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছিল।
আমদানিকারক শাহিনুর রেজা বলেন, দেশের বাজারে চালের অস্থিতিশীল অবস্থা থেকে সহনীয় পর্যায়ে আনতে ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছিল ভারত সরকার। সে মোতাবেক গত ৯ জানুয়ারি থেকে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু করা হয় যার ফলে দেশের বাজারে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। কিন্তু গত চারদিন ধরে এইচএসকোড নিয়ে সমস্যাজনিত কারনে ভারত চাল রফতানি বন্ধ রেখেছিল। রোববার (১৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে এইচএসকোড পরিবর্তন করে দিয়েছে যার ফলে বন্দর দিয়ে সোমবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। এই চালগুলো দেশের বাজারে বাজারজাত শুরু হলে চালের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে বিশ্বাস করি।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, দেশের বাজারে চালের মুল্য স্থিতিশীল রাখতে ভারত থেকে চাল আমদানির জন্য যে এইচএসকোডে সরকার চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছিল সেই কোডে ভারতীয়রা চাল রফতানি করতে চাচ্ছিল না যার কারনে গত চারদিন ধরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। এতে করে ভারতের অভ্যন্তরে দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় বেশ কিছু চাল আটকা পড়েছিল যাতে করে আমাদের আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছি। তবে ইতোমধ্যেই আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হয়েছে ও মন্ত্রণালয় থেকে সেই কোড পরিবর্তন করে দিয়েছে যার ফলে আজ বন্দর দিয়ে আবারো চাল আমদানি শুরু হয়েছে। আমাদের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকগণ প্রায় ৬০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। সে মোতাবেক পর্যাপ্ত পরিমানে চালের এলসি দেওয়া রয়েছে একইসাথে ভারতে পর্যাপ্ত পরিমানে চালও রয়েছে এই চালগুলোতে দেশের বাজারে প্রবেশ করলে চালের দাম কমে আসবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
হিলি স্থলবন্দর পরিচালনাকারী পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধের পর গত ৯ জানুয়ারি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়। ওই দিন থেকে শুরু করে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত চারদিন বন্দর দিয়ে ৫৪টি ট্রাকে ২ হাজার ১শ টন চাল আমদানি হয় যা বন্দর থেকে ছাড়করণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে গত ১৩ জানুয়ারি বুধবার থেকে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এবিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানতে পারি যে এইচএসকোড নিয়ে জটিলতার কারনে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে।
রোববার এটি সমাধান হয়ে গেছে যার কারনে চারদিন বন্ধের পর সোমবার দুপুর থেকে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। বন্দর দিয়ে বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত ৫ ট্রাক চাল ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। এসব চাল বন্দরে প্রবেশের পর কাস্টমসের প্রক্রিয়া সম্পুর্ণ করে দ্রুত খালাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
সান নিউজ/এএসএমএ/এনকে