নিজস্ব প্রতিনিধি, নাটোর : মোবাইল ফোনের দোকানের ভিজিটিং কার্ড থেকে ভিকটিম শনাক্ত করে হত্যারহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এরই সূত্র ধরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ভিকটিম শম্পার স্বামী আনছের আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রবিবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১২টা দিকে নাটোর পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান। প্রেসব্রিফিংয়ে লিটন কুমার সাহা আরও জানান, ১৩ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে লালপুর উপজেলার বাটিকামারী এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে লালপুর থানা পুলিশ অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।বাদী না থাকায় লালপুর থানা পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়।
বড়াইগ্রাম সার্কেল, লালপুর থানা পুলিশের ৩টি টিম গঠন করে মামলার ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য মানিকগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, পাবনায় ব্যাপক অভিযান শুরু করে। শেষে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ও তদন্তের ধারাবাহিকতায় ভিক্টিমের পরিচয় উদঘাটন করে।এতে ভিকটিম রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার নারায়ণপুর গ্রামের আঃ রহমানের মেয়ে শম্পা খাতুন (২৫)।
পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে একটানা ০৪ দিন নিরলসভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসামী শনাক্ত করে।
শনিবার (১৬ তারিখ) নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানাধীন চাঁচকৈড় বাজার হতে পাবনা জেলার চকবারেরা গ্রামের মৃত ভানু শেখের ছেলে আসামী আনছের শেখ (৪৫) কে শম্পা খাতুন এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারের পর আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আসামী আনছের এর সঙ্গে ভিকটিম শম্পা খাতুন এর প্রায় ০২ বছর পূর্বে বিয়ে হয়।
গত ১৩ জানুয়ারি ভোর রাত ৩ টার দিকে স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া করে এবং স্ত্রী শম্পা রাগ করে লালপুর থানাধীন গোপালপুর পৌরসভার ভাড়া বাসা হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়। স্ত্রীর রাগ ভাঙ্গানোর জন্য স্বামী আনছের শেখ তার পিছন পিছন যেতে থাকে।
গত রাত্রী অনুমান চারটার দিকে শম্পা ও তার স্বামী লালপুর থানাধীন সাদিপুর গ্রামের জনৈক রনজিত আলীর জমির পাশে রেল লাইনের পাশে বসে কথাবার্তা বলতে থাকে। তাদের মধ্যে কথাবার্তার এক পর্যায়ে আসামী আনছের শেখ উত্তেজিত হয়ে শম্পাকে তার ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে শম্পার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।পরে আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে প্রেরণ করা হয়।
সান নিউজ/এআই/এনকে