নিজস্ব প্রতিনিধি, রাজশাহী : রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় মোবাইলের সেলসম্যান জহুরুল ইসলাম (২৩) হত্যাকাণ্ডে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকালে রাজশাহী জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায় টাকা দেয়ার নাম করে কৌশলে আমবাগানে ডেকে জহুরুকে হত্যা করা হয়।
ইতোমধ্যে এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতর তিন আসামি হলেন-নাটোরের লালপুর উপজেলার বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (২৬), কাজিপাড়া গ্রামের মৃত সানাউল্লাহর ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে শাওন (৩০) এবং বাঘার জোতকাদিরপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান ওরফে রকি (২৩)।
গত ৬ জানুয়ারি বাঘার তেথুলিয়া শিকদারপাড়া গ্রামে জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। তিনি বাঘার পানিকুমড়া বাজারের মেহেদী হাসান মনির টেলিকম ও ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। নিহত জহুরুল বাঘার মনিগ্রাম বাজারের রফিকুল ইসলামের পুত্র।
পুলিশ জানায়, মাসুদ রানা ও শাওন নিহত জহুরুলের কাছ থেকে ব্যবহারের জন্য বাকিতে তিনটি মোবাইল সেট কিনে। জহুরুল তাদের টাকার জন্য চাপ দিতেন। কিন্তু মাসুদ ও শাওন টাকা না দিয়ে জহুরুলকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর তার কাছে থাকা ২৮টি মোবাইল সেট ও নগদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
সান নিউজ/এমআর/কেটি