নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝালকাঠি : ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের মহদিপুর গ্রামের শওকত আলী খানের পুত্র জামালপুরের জেলা ও দায়রা জজ জুলফিকার আলী খান (মাসুখ) এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি গোলাম সাইদ খান।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় আবৃতি পরিষদ ঝালকাঠি শাখার আহবায়ক উম্মে সালমা, কিশোর থিয়েটারের পরিচালক লাম আলিফ খান, কবি কামিনি রায় জীবনানন্দ দাস স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি আজিম তালুকদার, জাতীয় রবীন্দ্র সংঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আক্তার।
পোনাবালিয়ার মহদিপুর গ্রামের জুলফিকার আলী খান (মাসুখ) এর বিরুদ্ধে ভূমি দখল, ঘর-বাড়ি ভাঙচুর এর অভিযোগ এনে লিখিত বক্তব্যে গোলাম সাইদ খান বলেন, তার বাড়ির জমি যাহার বিএস দাগ নং ২২৭, পারিবারিক কবরস্থান যাহার বিএস দাগ নং ২২৬ এই দুই দাগের ৪ শতাংশ জমি অনেক আগেই দখল করে নেয়া হয়েছে। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি ২২৭ দাগ থেকে নতুন দেয়াল নির্মাণ করে ৬ শতাংশ জমি দখল করে নেয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে হত্যা করা হবে বলেও ভাড়া করা মাস্তান দিয়ে হুমকি দেয়া হয়। বাড়ি, কবরস্থান এবং চলার পথ থেকে ১০ শতাংশ ছাড়াও ধানের জমি থেকে ১৮১/১৮২/১৮৩ ও ১৩৮ নং খতিয়ানের প্রায় ৫ একর জমি দকল করে নেয়া হয়েছে। এর বাইরেও তিনি সরকারের ১ নং খতিয়ান ভুক্ত ১৯২ দাগের ৬০ একর জমি দখল করেছে। জুলফিকার আলী যখন সাব জজ ছিল তখন বিভিন্ন পন্থায় একাধিক ব্যক্তির জমি জোরপূর্বক দখল করেছে।
জালাল মাঝি নামের এলাকার এক মাদক ব্যবসায়ীকে দিয়ে আমাদের গোলাম সাইদ চার জনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছিল। সেই মামলায় ৭ বছর আইনি লড়াই করে আমরা মামলা থেকে মুক্তি পাই। জুলফিকার আলী মাসুখ সাহেব ভোলা জেলায় দায়রা জজ হিসেবে কর্মরত থাকাবস্থায় ঘুষ নিয়ে জজ কোর্টে চাকরি বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছিল। সে ঘটনায় একটি মামলাও হয়েছিল। পরবর্তীতে ক্ষমতার বলে সেই মামলা থেকে রেহাই পায়। এস.এ ১৯২ দাগের জমি সরকারের ১ নং খতিয়ান ভুক্ত। কিন্তু তিনি জেলা ও দায়রা জজের ক্ষমতার পাওয়ার দেখিয়ে বিএস পর্চায় নিজেদের নামে ২৯ একর জমি রেকর্ড করে নিয়েছে। সেই জমি নিয়ে সরকার পক্ষের সাথে ঝালকাঠিতে একটি মামলা চলমান আছে।
শুধু জমি দখলই নয়, জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে গোলাম সাইদ খান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তিনি বহু আগ থেকেই জঙ্গি জামাত সংগঠনকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে।
এ বিষয়ে জামালপুর জেরা ও দায়রা জজ জুলফিকার আলী খান (মাসুখ) মুঠো ফোনে বলেন, যে জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে সেই জমি আমার না। অন্যের জমির বিরোধ নিস্পত্তিতে আমি মধ্যস্থতা করে সমাধান করে দিয়েছে। তাই একটি পক্ষ আমাকে হেয় করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ উঠিয়েছে।
সান নিউজ/আরকে/কেটি