নিজস্ব প্রতিনিধি, জামালপুর : জামালপুরের বকশীগঞ্জে কালোবাজারে পাচার হয়ে আসা দুলাল মিয়া ও জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু খান নামে দুই ব্যবসায়ীর গোদামে ট্রাক থেকে মওজুদকালে বিএডিসির ৪০০ বস্তা টিএসপি ও পটাশ সার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এসময় সার বহনকারি ট্রাকটি জব্দ, ড্রাইভার বাবুল মিয়া (৩৫) ও হেলপার নুর মাহমুদ (২৯) কে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম সম্রাট।
বৃহস্পতিবার বিকালে মেরুর চরে নতুন টুপকারচর গ্রামে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুলাল মিয়া ও জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু খানের গোদাম ঘর থেকে মজুদ থাকা চোরাই সার উদ্ধার করেছে।
টুপকার চর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সার কালো বাজারী দুলাল মিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ও জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু পৌর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য।
পুলিশ জানায়, জামালপুর জেলার মেলান্দহ বিএডিসির গুদাম থেকে পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি উপজেলার রতন ট্রের্ডাসের মালিক সুরুজ্জামান সরকার নির্ধারিত মূল্যে ৪০০ বস্তা টিএসপি ও পটাশ সার উত্তোলন করেন।
উত্তেলিত সার মেলান্দহ থেকে একটি ভাড়া করা ট্রাক (ঢাকা-মেট্রো-২২-৭৮৬৫) যোগে রৌমারিতে যাওয়ার কথা থাকলেও কালো বাজারে বিক্রি করে দেয় বকশীগঞ্জের নতুন টুপকারচর গ্রামের দুলাল মিয়া ও জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু খানের কাছে।
দুলাল মিয়া জানিয়েছে, সে ও তার ভাই মঞ্জু ৫ লাখ টাকা মূল্যের এক ট্রাক সার ৪০ হাজার টাকায় কিনেছেন।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম সম্রাট জানান, সার ও সার বহনকারী ট্রাক জব্ধ এবং ট্রাক ড্রাইভার বাবুল ও হেলপার নুর মাহমুদকে আটক করা হয়েছে। সার ব্যবসায়ীদেরও থানায় ঢেকে আনা হয়েছে। বিএডিসির সার কালো বাজারে পাচার হয়ে আসা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সান নিউজ/এসজে/এস