এম.কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি : রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের ভেঙ্গে পড়ে যাওয়া বেইলী ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনার পরে দিন (১৩ জানুয়ারি) হতে রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বেইলী ব্রীজের নতুন কার্যক্রম শুরু করেছেন।
বুধবার সকালে সড়ক ও জনপথ চট্টগ্রাম বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ ওয়াহিদ উপস্থিত থেকে নতুন একটি বেইলী ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু করেন।
চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ ওয়াহিদ বলেন, দুর্ঘটনায় কবলিত ভেঙ্গে যাওয়া বেইলী ব্রীজের উপর নতুন করে আরেকটি বেইলী ব্রীজ নির্মাণ করা হবে। তবে ব্রীজের দু’পাশে শক্তিশালী আরসিসি গার্ডওয়াল তৈরী করে এবারের নতুন বেইলী ব্রীজটি নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, এই বেইলী ব্রীজ আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করতে রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেহেতু রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে এতে মানুষের দুর্ভোগ চরমে সে দিকে বিবেচনা করে সড়ক বিভাগ জরুরী ভিত্তিতে একটি নতুন বেইলী ব্রীজ নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনের দাফন-কাফন সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসনের তহবিল হতে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা মোট-৩০হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগের সড়ক ও জনপথ প্রধান প্রকৌশলী মো: ওয়াহিদ সরেজমিনে ঘুরে গেছেন।
তিনি আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে নতুন বেইলী ব্রীজ নির্মাণ করতে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করে গতকাল থেকে কাজও শুরু হয়েছে।
প্রসংগত, মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৭ টায় রাঙামাটি সদর উপজেলার কুতুকছড়ি বাজার সংলগ্ন বেইলী ব্রীজটি ট্রাকসহ ভেঙ্গে গিয়ে নদীতে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাক চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন-ট্রাক চালক মোঃ আরাফাত (৩৫) বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার বায়েজিদ, হেলপার মো: বাচ্চু (২৩) বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় ও ঠিকাদারের লোক জহিরুল ইসলাম (৩৮),এর বাড়ি রায়পুর, জেলা সিরাজগঞ্জ।
জেনে রাখা ভাল-ভেঙ্গে যাওয়া এই বেইলী ব্রীজটি ১৯৮২সনে কুতুকছড়ি বাজারের পাশে বড় মহাপুরম ছড়ার উপর নির্মাণ করা হয়েছিল। গত ৩৯ বছরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একবারও ব্রীজটি স্থায়ী ভাবে নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
গত ৩৯ বছরে একবারও মেরামত করা হয়নি। যদি মেরামত করা হতো তাহলে আজ তাজা তিনটি প্রাণ চলে যেত না।সচেতন মহল বলছে এটা সড়ক বিভাগের উদাসিনতা মাত্র!
সান নিউজ/এমকেইউ/এনকে