নিজস্ব প্রতিনিধি, রাজশাহী : রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় ৬’শ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি বাদি হয়ে বুধবার দিবাগত রাতে (বৃহস্পতিবার ১৪ জানুয়ারি) বাঘা থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেন। এর আগে পৌর নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগসহ গুলি ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মেয়র মুক্তার আলীকে প্রধান আসামি এবং ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৬’শ জনকে আসামি করা হয়।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এ মামলায় পুলিশ আড়ানী পৌর’র সাহাপুর এলাকার সাহাবাজ আলীর পুত্র মিলনকে (৩০) আটক করে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভার তালতলা বাজারে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী শহিদুজ্জামান শাহিদ এবং বর্তমান মেয়র ও বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এসময় মুক্তারের বিরুদ্ধে পথসভায় গুলি ও বোমা হামলার অভিযোগ উঠে। সংঘর্ষে বাজারের শতাধিক দোকানপাট ভাঙচুর এবং লুটের পাশাপাশি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসময় আহত তুষার (২৮) নামের এক যুবককে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযুক্ত মুক্তার আলী বর্তমানে আড়ানী পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। এবারও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু দল থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একারণে তাকে আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
সান নিউজ/এমএ/এস