নিজস্ব প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ: ১৬ বছর আগে সোহেল পারভেজ নামে এক স্কুলছাত্রকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে দুই আসামি।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শাকিল আহমেদের আদালতে আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
আসামিরা হলো, সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৩) ও সোনা মিয়ার ছেলে বাদল মিয়া (৩০)।
নিহত সোহেল পারভেজ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের উত্তর বরাইদ গ্রামের স্কুল শিক্ষক মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।
মানিকগঞ্জ পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, নিহত সোহেল পারভেজ ২০০৪ সালের এসএসসি মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ২০০৩ সাল থেকে পোল্ট্রি ফার্মের ব্যবসা করতো। সোহেলকে কমমূল্যে মোটরসাইকেল কিনে দেওয়া কথা বলে ২০০৪ সালের ১৫ জুনে বিকেলে স্থানীয় ইউনুছ আলী নামের এক ব্যক্তি তাকে ডেকে নিয়ে যায়। দুই দিন নিখোঁজ থাকার পর ১৮ জুন সাত লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে একটি চিঠি পায় সোহেলের পরিবার।
পরে ২৯ জুন সোহেলের বাবা সাটুরিয়া থানায় চারজনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও সিআইডি তদন্ত শেষে চারজনকে অভিযুক্ত করে ২০০৯ সালের ১৪ নভেম্বর আদালতে চার্জসিট দাখিল করেন। আদালত মামলার বিচারকার্য চলাকালীন সময়ে তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে গত ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর পিবিআই মানিকগঞ্জকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
তিনি আরো জানান, ১৬ বছর আগের ঘটনা বিশ্লেষণ করে প্রধান অভিযুক্ত মো. ইউনুছ আলীকে (৩৫) মাসখানেক আগে গ্রেফতার করে পিবিআই রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ইউনুছ আলী পরিকল্পিতভাবে টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে সাইফুল ও বাদলের সহযোগিতায় সোহেলকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়।
পরে তার দেয়া তথ্যানুযায়ী গত রোববার নারায়ণগঞ্জ থেকে আনসার সদস্য সাইফুল ও মঙ্গলবার সাটুরিয়ায় বরাইদ গ্রাম থেকে বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলার আরেক আসামি পলাতক রয়েছে।
সান নিউজ/এসআর/কেটি