বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন মীরডাঙ্গী থেকে ঐতিহ্যবাহী কাতিহার হাট পর্যন্ত সড়কে একটি ব্রিজের জীর্নদশার কারণে ৯ কিলোমিটার পাকা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। এ কারণে স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগে রয়েছে।
জানা গেছে, রানীশংকৈল উপজেলার কাতিহাট হাট একটি ঐতিহ্যবাহী হাট। এখানে গরু মহিষসহ বিভিন্ন প্রকার মালামাল বিক্রি হয়। ৪ বছর আগে কয়েক ধাপে আট কোটি টাকা ব্যয়ে মীরডাঙ্গী থেকে কাতিহার হাট পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। পাকা সড়ক নির্মাণের পর থেকেই সড়কটিতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ হাটে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের চলাচল বেড়ে যায়। মানুষসহ বিভিন্ন যানবাহনের চলাচল ব্যাপকভাবে বেড়ে ব্যস্ততম সড়কে পরিণত হয়ে পড়ে। ওই সড়কের বাকসা সুন্দরপুর এলাকার একটি ব্রিজের জীর্নদশার কারণে বর্তমানে হাটুরেসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে।
বর্তমানে ওই সেতুর রেলিং ভেঙে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুর মাঝখানে ঢালাই ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেতুটির উপর দিয়ে দিনের বেলা সাইকেল ও মোটর সাইকেলে লোকজন চলাচল করলেও সন্ধ্যার পর এটি মরণ ফাঁদে পরিণত হচ্ছে।। অবশ্য অটো চার্জার ও থ্রি হুইলার গাড়ি চলাচল করলেও রাতের আধারে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা এই ঝুকিপূর্ণ ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের নিকট আবেদন জানালেও কোন সুরাহা হচ্ছে না। এ অবস্থায় স্থানীযদের আশঙ্কা, দ্রুত সেতুটি পুনঃনির্মাণ করা না হলে যেকোন সময়ে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কোটি কোটি টাকা খরচ করে পাকা সড়ক নির্মাণ করা হলেও মাত্র ১০ ফিট প্রস্থ ও প্রায় ৫০ ফিট দৈর্ঘ্যর সেতুটি তখন নির্মাণ না করায় বর্তমানে আমরা সড়কটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ হেন অবস্থায় সড়কটিতে চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে।
আব্দুল মান্নান নামে স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, সেতুটি নির্মাণের পর কয়েক দফা সংস্কার করা হলেও নতুন করে নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে স্থানীয় কৃষক শ্রমিক যানবাহন চালকসহ পথচারীরা।
বিশেষ করে সপ্তাহে প্রতি শনিবার ঐতিহ্যবাহী কাতিহার হাটে নেকমরদ গাজীর হাট মীরডাঙ্গীসহ বিভিন্ন এলাকার গরু গাড়ি ধানের গাড়িসহ বিভিন্ন পণ্য বহনের গাড়িগুলো কয়েক মাস যাবৎ সেতুটির জীর্নদশার কারণে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ধান গমসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করলেও সেতুটির জীর্নদশার কারণে গাড়িতে করে মালামাল পারাপার করতে পারি না।
রানীশংকৈল উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম বলেন, মীরডাঙ্গী থেকে কাতিহার সড়কের বাকসা সুন্দরপুর এলাকার সেতুটি দুইবার সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়াও নতুন করে সেতুটি নির্মাণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রকল্প অনুমোদন না পাওয়ায় সেখানে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা যাচ্ছে না।
সান নিউজ/জেটি