এম.কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি : ঘাগড়া-কাপ্তাই, চন্দ্রঘোনা ও বাঙ্গালহালিয়া বান্দরবান সড়কে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের তলব করতে অভিযান করেছে দুদক রাঙামাটি ইউনিট।
ঘাগড়া-কাপ্তাই সড়কে ঠিকাদার মাসুদের এবার বল্লি (গাছের চিকন খুঁটি) থেরাপির পরিবর্তে ব্যবহার করছে লোহা থেরাপি। এসব থেরাপির অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক (ঢাকা) প্রধান কার্যালয়ের অফিসের আদেশক্রমে বুধবার সকালে সরেজমিনে অভিযান পরিচালনা করেন দুদক রাঙামাটি ইউনিট।
দুদক রাঙামাটি ইউনিটের সহকারী পরিচালক জিএম আহসানুল কবীরের নেতৃত্বে সড়ক বিভাগ ও ঠিকাদারের অনিয়ম দুর্নীতি এবং সড়কে নিম্নমানের লোহা থেরাপির কাজে সরেজমিনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুদক বুধবার সকালে প্রধমে ঘাগড়া-কাপ্তাই সড়কের কুকিমারা, মুরালিপাড়া এলাকায় সড়ক ধসের লোহা থেরাপি কাজ পরিদর্শন করে
এমন চরম অনিয়ম দুর্নীতি পরিলক্ষিত হয়।
সড়কে বল্লি থেরাপির পরিবর্তে লোহা থেরাপির কাজ পরিদর্শনে গিয়ে দুদক কর্মকর্তা জিএম আহসানুল কবীর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, হেড অফিস আমাকে বিশেষ অভিযানে পাঠিয়েছেন। তাই আপনারা নয়ছয় করে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ করবেন এটাতো হয় না। এভাবে যদি সড়ক ধসে যায় তাহলে কিসের প্রেক্ষিতে আপনারা প্রকল্প গ্রহণ করেছেন তার ডকুমেন্টপত্র আমাকে দেখাতে হবে। আপনাদের পরিকল্পনায় ত্রুটি রয়েছে।
ঘাগড়া-কাপ্তাই সড়কে দুদকের হানা খবর পেয়ে হাজির হন সড়কের উপসহকারী প্রকৌশলী
মো. আরিফ ও ফতে এলাহী এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মোহাম্মদ আমিনুল হক (প্রাঃ) লিমিটেডের রাঙামাটি প্রতিনিধি মো. মাসুদ।
ঘাগড়া-কাপ্তাই ও চন্দ্রঘোনা বাঙ্গালহালিয়া সড়কে বর্ষা মৌসুমের আগে ভাঙন ঠেকাতে জরুরি সড়ক মেরামতের নামে সোয়া কোটি টাকার মেইনটেনেজ কাজ করা হলেও কয়েক মাসের মধ্যেই পুরো টাকাগুলো জলে যাওয়ার অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ আরেফিনের কাছ থেকে মুঠোফোনে এই সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি একটু পরে ফোন দেবেন বলে ফোনটি কেটে দেন।
সান নিউজ/কে/কেটি