খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালার পাহাড়ি পল্লী রথিচন্দ্র পাড়ায় অজ্ঞাত রোগে ধনিতা ত্রিপুরা নামে ৯ বছরের এক তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা মৃত্যু হয়েছে।
২৮ মার্চ শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। একই রোগে কমপক্ষে ২০শিশু আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা যায়। দীঘিনালা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে দুর্গম রতিচন্দ্র কার্বারী পাড়ায় গত এক সপ্তাহ আগে অজ্ঞাত এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত রথিচন্দ্র পাড়ার আরো বেশ কয়েকটি শিশুর অবস্থা খারাপের দিকে। লকডাউানের কারনে যানবাহন না চলায় এবং অর্থের অভাবে সেসব শিশুদের হাসপাতালেও ভর্তি করতে পারছেন না তারা। রথিচন্দ্র কার্বারিপাড়া ছাড়াও জেরক পাড়া এবং হেমকপাড়ার শিশুদের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।
এছাড়া রাঙ্গামাটির সাজেকের দুর্গম শিয়ালদহ গ্রামে সম্প্রতি হাম রোগে ৮ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ও দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের সংবাদে পুরো গ্রামের মানুষ এখন চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় জীবন কাটাচ্ছেন।
রথিচন্দ্র পাড়ার বাসিন্দা চরণ বিকাশ ত্রিপুরা জানান, অজ্ঞাত এ রোগের লক্ষণ হচ্ছে শিশুদের গায়ে প্রচণ্ড জ্বর, গায়ে লাল ফোস্কার মতো দাগ এবং চোখ মুখ লাল হয়ে যায়। এমন লক্ষণ নিয়েই শনিবার রাতে ধনিতা ত্রিপুরা মারা যায়। এখন আমি আমার মেয়ে প্রান্তি ত্রিপুরাকে কোলে করে নিয়ে এসে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছি।
চরণ বিকাশ ত্রিপুরা আরো জানান, দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে থেকে একটি মেডিক্যাল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত ২০ শিশুকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করছে।
এ ব্যাপারে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. তনয় তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, আক্রান্ত শিশুদের ঘটনাস্থলে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে পরীক্ষা নিরীক্ষার আগেই তারা কি রোগে আক্রান্ত এবং কি রোগে শিশুটি মারা গেছে তা বলা যাবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ বলেছেন, যদি এটা হামের লক্ষণ হয় অথবা শিশুরা হামেই আক্রান্ত হয়ে থাকে; তাহলে বিশেষ ব্যবস্থায় এমআর ক্যাম্পেইন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
সান নিউজ/সালি