নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রথমবারের মতো নির্মাণ করতে যাচ্ছে শেখ রাসেল ওয়াটার বেইজড বিনোদন পার্ক নামের একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বিনোদন কেন্দ্র। বিনোদন পার্কটির কাজ শেষ হলে কেরানীগঞ্জ এলাকায় আধুনিক নাগরিক সুবিধা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম তথা নতুন শহরের বিস্তার ঘটানো সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার ঘাটারচর এলাকায় প্রায় ২০ একর জমিতে হবে এ পার্কটি। ১৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হাতে নেওয়া এ প্রকল্পে থাকবে এম্পিথিওটর, কমিউনিটি সেন্টার, অফিস ভবন, ওয়াচ টাওয়ার, ব্যায়ামাগার, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, বাইসাইকেল লেন, ফুটপাত, লেক, সাবস্টেশন, সবুজ এলাকা, ৩২ দশমিক ৩৮ শতাংশ জলাশয়/লেক ও পর্যাপ্ত কার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।
রাজউক চেয়ারম্যান সাঈদ নূর আলম বলেন, ‘এরই মধ্যে তৈরি হয়ে গেছে প্রকল্পের প্রাথমিক লে-আউট প্ল্যান। শহরে এমনিতেই চিত্তবিনোদনের জায়গার খুব অভাব। এ শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিনোদনের সুযোগ-সুবিধা সেই তুলনায় বাড়ছে না। সেই দৃষ্টিকোন থেকে একটি ভালো মানের পার্ক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটি বাস্তবায়ন হলে পুরো ঢাকাবাসীর বিনোদনের একটি নতুন মাত্রা যোগ হবে। এ বিনোদন কেন্দ্রটি ওয়াটার বেইজ করা হচ্ছে। তাই পানিকেন্দ্রিক মানুষের একটু আনন্দ বিনোদনের ব্যবস্থা হচ্ছে। প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি একটু বাড়তি আনন্দ দিতে নানা ধরনের সরঞ্জাম রাখা হবে। আশা করছি এটি দেশের মধ্যে একটি অত্যাধুনিক বিনোদন কেন্দ্র হবে।’
রাজউক কর্মকর্তারা জানান, চলতি বছর জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ধরা হয়েছে প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল। প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৪ কোটি ৮২ লাখ ২৪ হাজার টাকা। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর মৌজায় ২০ দশমিক ৭০ একর জমির ওপর সবুজে সাজবে পার্কটি। বাসযোগ্য ভূমির পাশাপাশি স্বয়ংসম্পূর্ণ বিনোদন অঞ্চল, জনসাধারণের জন্য বিনোদনের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হবে।
এখানে ২০ একরের মধ্যে ১০ একর অধিগ্রহণ করা হলেও বাকি ১০ একর খাসজমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তারা আরও বলেন, রাজউক তার সূচনালগ্ন থেকে জনসাধারণের জন্য পরিকল্পিত আবাসন সুবিধার কাজটি করে আসছে। গুলশান, বনানী, বারিধারা, নিকুঞ্জ, উত্তরা, পূর্বাচল, ঝিলমিল এলাকায় পরিকল্পিত আবাসন সুবিধার পাশাপাশি কিছু বিনোদনের ব্যবস্থাও করে আসছে তারা।
রাজউকের হাতিরঝিল প্রকল্পটি বর্তমানে জলাধার সংরক্ষণ ও ঢাকার প্রধান বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। কর্মকর্তরা আরও জানান, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে বাংলাদেশ। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে আবাসস্থল ও খেলার মাঠ, পার্কের পরিমাণ কমে আসছে। সেই চাহিদা পূরণের জন্য শেখ রাসেল ওয়াটার বেইজড বিনোদন পার্কটি বিশাল একটি জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটাবে।
সান নিউজ/এসএ