শামীম রেজা, মানিকগঞ্জ : অনুকূল আবহাওয়া আর উত্তম পরিচর্যায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয় ঢাকার প্রতিবেশী জেলা মানিকগঞ্জে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে মানিকগঞ্জের কৃষকরা। জেলার সাতটি উপজেলার প্রতিটি উপজেলাতেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষাবাদ হয় পেঁয়াজের।
তবে হরিরামপুর, শিবালয়, ঘিওর এবং সাটুরিয়া উপজেলায় পেঁয়াজের চাষাবাদ হয় সবচেয়ে বেশি। ভালো বাজারদর পেতে উঁচু জায়গায় সারাবছরই যেন পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন এসব এলাকার কৃষকরা।
জেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে মানিকগঞ্জে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ হাজার ৯৫৪ হেক্টর। এরই মধ্যে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি জমিতে পেঁয়াজের চাষাবাদ নিয়ে ব্যস্ততা বাড়ছে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে।
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার নবগ্রাম এলাকার কৃষক লাভলু মিয়ার সাথে পেঁয়াজ চাষাবাদের বিষয়ে আলাপ হলে তিনি বলেন, দুই বিঘা (৫৪ শতাংশ) জমিতে চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের চাষাবাদ করেছেন তিনি। জমি তৈরি, সার, কীটনাশক, বীজ ও কৃষকের পারিশ্রমিক দিয়ে এরই মধ্যে খরচ করেছেন প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
ফলন পাওয়া পর্যন্ত আরো প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হবে। অনুকূল পরিবেশে আর ভালো ফলন হলে ওই জমি থেকে প্রায় দুই লাখ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করা যাবে। তবে বাজারদর আশানুরূপের চেয়ে কমে গেলে মুনাফাও কমে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহজাহান আলী বিশ্বাস বলেন, গেল মৌসুমে জেলায় পাঁচ হাজার ৩৪৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষাবাদ হয়েছিল। ভালো বাজারদরে পেঁয়াজ চাষিদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। চলতি মৌসুমে গেল বছরের চেয়ে ৬১১ হেক্টর বেশি জমিতে পেঁয়াজের চাষাবাদ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অনুকূল আবহাওয়ায় আশানুরূপ ফলন এবং পেঁয়াজের স্বাভাবিক বাজারদর থাকলে কৃষকরা বেশ লাভবান হবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ের মাঠ কর্মীরা পেঁয়াজ চাষিদের সব সময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে মানিকগঞ্জে পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সান নিউজ/কেটি