যশোর প্রতিনিধি : অন্যের স্ত্রীকে দুই সন্তানের জননীকে ‘ভাগিয়ে’ নিয়ে সংসার করার অভিযোগে যশোর সদর উপজেলার তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের কনস্টেবল আবদুর রহমান কনককে প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ।ওই নারীর প্রথম স্বামীর অভিযোগে বিষয়টি জানা যায়।
সূত্র জানায়, ওই নারী রংপুর মহানগরের তাজহাট এলাকার বিপ্লবের স্ত্রী। তাদের ১২ বছরের সংসার জীবনে দুই সন্তান রয়েছে। স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই ওই নারী পুলিশ সদস্যের সঙ্গে যশোরের ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন।
বিপ্লবের স্বজনরা জানান, রংপুর মহানগরের তাজহাট এলাকার বাসিন্দা বিপ্লবের স্ত্রী স্বপ্না খাতুনের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সম্পর্কে গড়ে তোলেন ওই পুলিশ কনস্টেবল।
গত ২৫ ডিসেম্বর স্বপ্নার ছয় বছরের ছেলেকে রেখে, চার বছর বয়সী কন্যাকে নিয়ে আবদুর রহমান কনকের সঙ্গে পালিয়ে যান। কনকের কর্মস্থল যশোরে জেলায় হওয়ায় তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। যদিও কনকের প্রথম স্ত্রীর সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। প্রথমপক্ষের স্ত্রী থাকার বিষয়টি গোপন রেখে স্বপ্না ও তার কন্যাকে নিয়ে বসবাস করেন।
এদিকে স্ত্রী ও সন্তানের সন্ধান না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন বিপ্লব। একপর্যায়ে তিনি শনাক্ত করেন তার স্ত্রী পুলিশ সদস্য কনকের সঙ্গে পালিয়েছেন। গত ৪ জানুয়ারি (সোমবার) রংপুরের তাজহাট থানায় অভিযোগ দেন বিপ্লব। কিন্তু থানা মামলা নেয়নি। তারা বলেছে, তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল আবদুর রহমান কনক বলেন, আমি তাকে ‘ভাগিয়ে’ কিংবা অপহরণ করিনি। স্বপ্না স্বেচ্ছায় আমার কাছে চলে এসেছেন। মোবাইলফোনে পরিচয় থেকেই আমাদের সম্পর্ক হয়। শুনেছি তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েই এসেছেন।
যশোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, বুধবার (৬ জানুয়ারি) কনস্টেবল আবদুর রহমান কনককে ক্লোজড করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সান নিউজ/আরআই