শামীম রেজা, মাানিকগঞ্জ : ঘাটে আটকে থাকতে থাকতে অসহ্য হয়ে গিয়েছিলাম। নানা অজুহাতে আমাদের ট্রাকগুলো আটকিয়ে রাখে, যাত্রীবাহী পরিবহনের পাশাপাশি দুই একটা করে পণ্যবোঝাই ট্রাক পার করলেও কিন্তু ট্রাকের এতো জটলা হয় না ঘাট এলাকায়।
এ কথাগুলো বলছিলেন চুয়াডাঙ্গাগামী রড বোঝাই ট্রাকচালক সাগর মিয়া।
তিনি আরো বলেন, ফেরিঘাটের অফিসার থেকে শুরু করে অন্যান্য লোকজন আমাদের মানুষই মনে করে না। কিছু বলতে গেলে আমাদের গালিগালাজ করে বিআইডব্লিউটিসির লোকজন।
ঘাটে আটকে থাকলে তিন বেলা খাবারসহ প্রতিদিন হাজার টাকার ওপরে খরচ হয়। মালিক তো হিসাব করে টাকা দিয়ে দেয় কিন্তু ঘাটে এসে আটকে পড়ায় সব টাকা শেষ হয়ে গেছে এখন টিকিট কাটার জন্য আবার মালিকের কাছ থেকে টাকা আনতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকেই যাত্রীবাহী পরিবহন ও ছোট ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ থাকায় ট্রার্মিনালে জড়ো হতে থাকে পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো। ঘাটের দুটি ট্রাক ট্রার্মিনালে জায়গা না থাকায় উথুলী সংযোগ মোড়ে পাটুরিয়ামুখী ট্রাকগুলোকে আটকে রাখা হয়েছে। ঘাট এলাকায় চাপ কমে এলে সিরিয়াল অনুযায়ী ট্রাকগুলোকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট অভিমুখে পাঠানো হবে। ঘাট এলাকায় দুই তিন দিন আটকে থাকতে হয় পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোকে এমন অভিযাগ চালকদের।
ফরিদপুরগামী এলপি গ্যাস ভর্তি ট্রাকের চালক মুস্তফা বলেন, পরিবহন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করুক তাতে আমাগো কোনো সমস্যা নাই। পরিবহনের সঙ্গে দুই একটা করে ট্রাক দিলে ঘাট এলাকায় এত চাপ পড়ে না। শুধু বলে রাতে পার করবে কিন্তু রাতেও তো একই অবস্থা।
যশোরগামী আরো এক ট্রাকচালক বলেন, ঘাটে ট্রাক আটকে রেখে ফেরির লোকজন ধান্দা করার পাঁয়তারা করে। এখন ট্রাকের টিকিট থেকে অতিরিক্ত টাকা নিতে পারছে না তাই নানাভাবে আমাদের হয়রানি করছে।
বরঙ্গাইল হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ বাসুদেব সিনহা বলেন, পাটুরিয়া ঘাটে এখনো পরিবহন ও ট্রাকের চাপ আছে যার কারণে উথুলী সংযোগ মোড়ে আটকানো ট্রাকগুলোকে ছাড়া হচ্ছে না। ঘাট এলাকায় চাপ কমে এলে ট্রাকগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, পাটুরিয়া দুটি ট্রাক ট্রার্মিনালে পণ্যবোঝাই ট্রাক পারের অপেক্ষায় আছে দুই শতাধিক এবং শুনেছি উথুলী মোড়েও নাকি দুই থেকে আড়াই শতাধিক ট্রাক আটকা আছে। পরিবহনের চাপ কমে গেলে ট্রাক পার করা হবে বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/কেটি