নিজস্ব প্রতিনিধি, শরীয়তপুর : শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী আওয়ামী লীগ সহ দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে নানান মাধ্যমে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইতোমধ্যেই সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও ইউটিউবসহ নানান মাধ্যমে এসব ভাইরাল হয়েছে। এতে করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা ফুসে উঠেছে। তারা দ্রুত বাবু রাড়ীর বহিস্কারসহ উপযুক্ত বিচার দাবি করেছে।
জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে নড়িয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রদানের জন্য শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী (আওয়ামী বিদ্রোহী), গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম (ভিপি চুন্নু), সদস্য মাহমুদুল হাসান জুয়েল (আওয়ামী বিদ্রোহী) সহ ৯ জন প্রার্থীর নামের তালিকা কেন্দ্রে পাঠায় নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।
তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মনোনয়ন বোর্ড শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. আবুল কালাম আজাদকে মনোনয়ন দেন। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বাবু রাড়ী মনোনয়নপত্র দাখিল করে। পরে বাছাইকালে শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ীর বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা থাকা স্বত্ত্বেও মনোনয়নের সঙ্গে দেয়া হলফ নামায় তিনি তা উল্লেখ না করে তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নড়িয়া থানার মামলা নং-১৪, তাং ১৯-০৪-২০০৫, জিআর নং ৫০/২০০৫, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ মামলার গ্রেফতারকৃত আসামী মোস্তফা আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ীর নাম উল্লেখ করেছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বাবু রাড়ী নিজ বাড়িতে তার সমর্থক ও নেতাকর্মীদের ডেকে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ও দলকে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেয়। যা ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
এদিকে, ফেইসবুকে ভাইরাল বক্তব্যের পরে তার বহিস্কার ও বিচারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে দলীয় নেতাকর্মীরা।
পরপর ৩ বার নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন, বিদ্রোহী সভা করে লাইভে এসে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন নেত্রীকে!
এতো সাহস ও ক্ষমতার উৎস কোথায় এটা জানা প্রয়োজন আগে। আর এমন একজন ব্যক্তিকে কেন আওয়ামীলীগের উপজেলা শাখার ১ নং যুগ্ম সম্পাদক করা হলো, এটার সাংগঠনিক তদন্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করি।
সেই বীর পুরুষ নড়িয়া পৌরসভার মনোনয়ন বঞ্চিত মানুষ, শহীদুল ইসলাম বাবু রাঢ়ী। একজন ডাকাতি মামলার আসামী (নড়িয়া থানায় মামলা) হলফ নামায় তথ্য গোপনকারী তিনি। দুদকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা আছে।
ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন। তিনি আপিল করছেন আদালতে, যদিও জেলা কোর্টে কোন আইনজীবী তার পক্ষে দাঁড়াননি।
এ ব্যাপারে শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ীর বক্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সান নিউজ/এএএস/এনকে