নিজস্ব প্রতিনিধি, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় আইন অমান্য করে ক্ষমতাসীন দলের এক প্রভাবশালী নেতা ফসলি জমির মাটি কেটে নিচ্ছে তার ইটভাটায়। অন্যদিকে জমির মাটি আনা-নেয়ার কাজে ব্যবহৃত আট চাকার ট্রলির চাপে নষ্ট হচ্ছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের রাস্তাঘাট।
জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য শ্যামল কুমার সাহা সরকারি আইন না মেনে বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে অবস্থিত তার ইটভাটায় (RMS) দীর্ঘদিন ধরে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের শিরগ্রামের একটি ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নিচ্ছেন। এতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এখন যে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে তার পাশেই সদ্য খননকৃত একটি বিশাল পুকুর। স্থানীয়রা জানায়, গভীর রাতে ওই পুকুর থেকে নিষিদ্ধ ড্রেজারের সাহায্যে প্রায় তিন মাস ধরে মাটি কেটে ওই ভাটায় নেয়া হয়েছে। এখন তারই পাশে ফসলি জমি থেকে এক্সকেভেটরের সাহায্যে মাটি কেটে নিয়ে গভীর পুকুর তৈরি করা হচ্ছে। গত এক মাস ধরে মাটি কাটা হলেও প্রশাসন নিশ্চুপ। এতে ফসলি জমির আয়তন হ্রাস পাচ্ছে।
সূত্র মতে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পুকুর, খাল-বিল, নদ-নদী, চরাঞ্চল, পতিত ও আবাদী জমি থেকে মাটি কাটা নিষিদ্ধ। এছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে নির্মিত উপজেলা, ইউনিয়ন বা গ্রামীন সড়ক ব্যবহার করে কোন ভারী যানবাহন দিয়ে ইট বা ইটভাটার কাঁচামাল আনা নেয়া নিষিদ্ধ। কিন্তু এর কোন নিয়মই মানছেন না ওই প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এবং আ'লীগ নেতা শ্যামল কুমার সাহা।
অন্যদিকে, জমির মাটি আনা-নেয়ার কাজে ব্যবহৃত আট চাকার ট্রলির চাপে নষ্ট হচ্ছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের রাস্তাঘাট।
ওই ইটভাটার মাটি টানার কাজে ব্যবহৃত আট চাকার ট্রলির চাপে রাস্তা দেবে ও ভেঙে যাওয়ায় গত ১৪ ডিসেম্বর উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের জালিয়াডাঙ্গা নামক স্থানে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, আসলে আমরাতো অনেক কাজে ব্যস্ত থাকি। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
সান নিউজ/কেএস/কেটি