নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী : নোয়াখালী জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) এর প্রত্যাহারের দাবিতে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জে বিক্ষোভ করছে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
রোববার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১১ টা থেকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান, নোয়াখালী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহিদুল হক রনির প্রত্যাহার, নোয়াখালী ৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, তার স্ত্রী শিউলী একরাম, তার ছেলে সাবাব চৌধুরী’র দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি, ফেনী ৩ আসনের এমপি নিজাম হাজারী, মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর বিরুদ্ধে, একরাম হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল ও ভাগিনা ফখরুল ইসলাম রাহাতের বিরুদ্ধে অস্ত্র মজুদ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্টের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, টেন্ডার বানিজ্য, চাকরি বানিজ্য বন্ধের দাবীতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র প্রার্থীরা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগ সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে।
এসময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সকল যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। বসুরহাটের সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। নেতা-কর্মীরা ঝাড়ু নিয়ে জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান ও পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করে। এতে কোম্পানীগঞ্জ অচলাবস্থা দেখা দেয়। ফলে জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
দিন শেষে নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিমের আশ্বাসে আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান ধর্মঘট স্থগিত করে।
খায়রুল আনম সেলিম আশ্বস্ত করে বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবী সত্য, যে কথা আমরা বলতে পারিনি সেই কথা মির্জা বলেছেন। ১৬ জানুয়ারী পৌরসভা নির্বাচনের পর মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান বেলায়েতসহ আলোচনায় বসে আমরা সিদ্ধান্ত নিব।
সান নিউজ/বিইউ/এনকে/এস