এম.কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি : শীত যত প্রকট আকার ধারণ করছে ততই বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি ও শিশুদের ডায়রিয়ার মত রোগ। আর এই রোগ জীবাণু প্রতিনিয়ত হাতছানি দিয়ে ডাকছে করোনাকে। রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি।
শনিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে সরেজমিনে ঘুরে এসব রোগীর করুন ভোগান্তি দেখতে পাওয়া যায়।
হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় পুরুষ ওয়ার্ড ও তৃতীয় তলায় শিশু ওয়ার্ড। ২টি ওয়ার্ডেই প্রচুর রোগী দেখা গেছে। যারা বয়স্ক তারা ভর্তি হয়েছেন শ্বাসকষ্ট রোগ নিয়ে আর যারা শিশু তারা ভর্তি হয়েছেন সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে।
রোগীদের অভিভাবকেরা বলছেন, বর্তমানে প্রচুর শীত পড়ছে যার কারণে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এমনিতেই শীত মৌসমে শিশু ও বয়স্কদের রোগ বালাই একটু বেশী হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে সদর জেনারেল হাসপাতালে আগের চেয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও চিকিৎসার মান অনেকটা ভাল যার জন্য চট্টগ্রামে যেতে হচ্ছে না। আর ওষুধ ও আগের চেয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ দেওয়া হচ্ছে।
অনেক রোগীর অভিভাবক দূরচিন্তায়ও আছেন কারণ এইসব রোগ থেকে নাকি করোনা হতে পারে। তাই তারা করোনার আতংক ও ভয় মনে নিয়ে রোগীদের সঙ্গে হাসপাতালের বেডে বসে আছেন। অনেকে আবার রোগী সঙ্গে হাসপাতালে এসে রোগী হয়ে গেছেন।
শহরের রিজার্ভ বাজার থেকে আসা শিশু রোগীর অভিভাবক শারমিন জানান, সে তার শিশু ছেলেকে নিয়ে ২/৩ দিন ধরে হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি আছেন । তার শিশুর পাতলা পায়খানা তাই তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সে জানান, তার ছেলে পানি খায় আর পানির মত পায়খানা করে। এখনো কোন উন্নতির দিকে যাচ্ছে না।
তবে কর্তব্যরত ডাক্তার বলছে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এটি সাধারণ ডায়রিয়া নহে, তাই এই ডায়রিয়া ভাল হতে সময় লাগবে।
রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার শওকত আকবর জানান, যেহেতু কনকনে শীত পড়েছে তাই এই সময়ে শিশুদের সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও বৃদ্ধ লোকদের শ্বাসকষ্ট বেশী হয়ে থাকে। এই মৌসমে শিশু ও বৃদ্ধ লোকজনদের বেশী বেশী কেয়ারে রাখতে হবে। আর এসব রোগ থেকে করোনা হওয়ার আশংকা বেশী থাকে।
হাসপাতালে বর্তমানে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যাই অনেক বেশী। তবে হাসপাতালে চিকিৎসা সংকটে ব্যাঘাত ঘটছে না।নিয়মিত ডাক্তাররা রোগী দেখছে ও পর্যাপ্ত ঔষধ রয়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় আমাদের কোন অভাব নেই।
সান নিউজ/এমকেইউ/এনকে