জামাল উদ্দিন বাবলু, লক্ষ্মীপুর: শীতের আমেজে নানান ধরনের ধোঁয়া উঠা গরম গরম পিঠায় জমে উঠেছে লক্ষ্মীপুর শহর, সড়ক-মহাসড়কের পাশের পিঠার দোকানগুলো। কনকনে শীতে ঠাণ্ডা হাতে গরম গরম চিতই-ভাপাসহ নানা ধরনের পিঠা-পুলিতে জমেছে আড্ডা। সন্ধ্যা নামলেই পিঠার সুগন্ধে ভরে ওঠে শহুরে বাতাস।
এদিকে, শীত এলেই গ্রামের বাড়িগুলোতেও ধুম পড়ে পিঠা তৈরির। নানান নামের পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে গ্রামীণ বধূরা।
লক্ষ্মীপুর শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে এমনই দৃশ্য দেখা যায়। এছাড়া, জেলার প্রতিটি শহর ও বাজারের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান চোখে পড়ার মতো। রাস্তার ধারে মাটি ও গ্যাসের চুলায় তৈরি হচ্ছে নানান ধরনের পিঠা।
ধোঁয়া ওঠা এসব পিঠার স্বাদ বাড়িয়ে তোলে ধনেপাতা বাটা, সরষে বাটা, কালোজিরার ভর্তা, শুঁটকিসহ নানা ধরনের ভর্তা। আর এসব রসনায় চাখতে অনেকেই ভিড় করছেন দোকানগুলোতে। ক্রেতাদের অনেকেই সেখানেই দাঁড়িয়ে খাচ্ছেন। আবার অনেকে বাসার জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। স্বাদে ভালো, দামেও কম। তাই স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এসব পিঠার স্বাদ নেওয়া কষ্টকর কিছু না।
পিঠা খেতে আসা যুবক মো. সুমন জানান, গত কয়েকদিনের তুলনায় এখন বেশি শীত পড়ে। শীতে গরম পিঠা খাওয়ার স্বাদই আলাদা। দামও তেমন না। চিতই ও ভাপা পিঠা প্রতিটি ১০ টাকা করে।
পিঠা ব্যবসায়ী মো. কবির হোসেন বলেন, পিঠার মূল আকর্ষণ হচ্ছে ভর্তা। গরম গরম পিঠা সরিষা ও শুঁটকির ভর্তা দিয়ে এখানেই দাঁড়িয়ে খান ক্রেতারা। কেউ কেউ আবার বাসার জন্যও নিয়ে যাচ্ছেন। এখন শীত বেশি, তাই বিক্রির পরিমাণ বেশি। পিঠা বিক্রি করে আশানুরূপ লাভ থাকছে।
সান নিউজ/কেটি