নিজস্ব প্রতিনিধি, কুমিল্লা : কুমিল্লার ব্রাক্ষণপাড়া উপজেলায় রেলগেট পার হওয়ার সময় মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশায় থাকা স্বামী ও স্ত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হন আরও দু’জন।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৭টার দিকে কুমিল্লা মহানগরীর শাসনগাছা রেলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মো. ফরিদ মুন্সি (৬০) ও তার স্ত্রী পেয়ারা বেগম (৫০)। ফরিদ মুন্সি দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের মৃত লাল মিয়া মুন্সির ছেলে।
আহতরা হলেন- অটোরিকশাচালক রাকিবুল হাসান, নিহত ফরিদ মুন্সির মেয়ে আঁখি আক্তার।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল পৌনে ৭টার দিকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা কুমিল্লা মহানগরীর শাসনগাছা রেলগেট এলাকায় পৌঁছালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
গেটম্যানের সংকেত উপেক্ষা করে অটোরিকশাচালক দ্রুত রেলগেট পার হওয়ার চেষ্টা করলে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান তারা।
গেটম্যান মিজানুর রহমান জানান, অটোরিকশাটি রেলগেটে এলে তিনি তখন সংকেত দিতে থাকেন। এ ছাড়া মালবাহী ট্রেন হুঁইসেল দেয় ঘন ঘন। তার পরও অটোরিকশাচালক সংকেত ও হুঁইসেল উপেক্ষা করে রেললাইন পার হওয়ার চেষ্টা করেন। তখন অটোরিকশাটি ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এরপর প্রায় ৫০০ মিটার দূরে গিয়ে ট্রেন থামে। ততক্ষণে অটোরিকশাচালকসহ চারজন মারাত্মকভাবে আহত হন।
অন্যদিকে মালবাহী ট্রেনচালক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, তিনি সহকারী চালককে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন। কুমিল্লা এসে লাইন ক্লিয়ার পেয়ে পর পর কয়েকটি হুঁইসেল দেন এবং শাসনগাছা রেলগেট অতিক্রম করার সময় হঠাৎ অটোরিকশাটি লাইনে ঢুকে যায়। অনেক চেষ্টা করে কিছু দূর এসে ট্রেন থামানো হয়।
নিহত ফরিদ মুন্সির ভাতিজা সোহেল রানা ও মনসুর মুন্সী জানান, ফরিদ মুন্সি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তাই বুধবার ভোরে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার সময় ট্রেন দুর্ঘটনায় তিনি না ফেরার দেশে চলে গেছেন।
রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ইসলাম হোসেন সিরাজী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সান নিউজ/বিএস