নিজস্ব প্রতিনিধি, কক্সবাজার : প্রথমবারের মতো কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীর গভীর সমুদ্রবন্দরে ভিড়েছে পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ‘ভেনাস ট্রায়াম্প’।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা জাহাজটি মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নির্মিত জেটিতে প্রবেশ করে।
এরপর গভীর সাগর থেকে জাহাজটি চালিয়ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য অস্থায়ীভাবে নির্মিত জেটিতে নেন বন্দরের পাইলটরা।
সি-শোর মেরিন প্রাইভেট লিমিটেডের জাহাজটির দেশীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে এনসেইন্ট স্টিমশিপ লিমিটেড এবং স্টিবেটর হিসেবে কাজ করবেন গ্রিন এন্টারপ্রাইজ।
গত ২২ ডিসেম্বর পানামার পতাকাবাহী জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার পেলাভুবন সিলেগন বন্দর থেকে স্ট্রিম জেনারেটরের যন্ত্রাংশ নিয়ে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ‘ভেনাস ট্রায়াম্প’।
চট্টগ্রাম বন্দরের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন জহিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সকাল সোয়া ১০টার দিকে ‘ভেনাস ট্রায়াম্প’ জাহাজটি মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে পণ্যবাহী জাহাজটি পৌঁছায়। পর্যায়ক্রমে আরও জাহাজ আসবে।
আগেই জেটিতে জাহাজ ভেড়ানোর জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলাম। প্রবেশপথে বয় বসানো থেকে শুরু করে সব কাজ শেষ করা হয়।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, মাতারবাড়ীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নির্মিত জেটিতে জাহাজ ভেড়ানোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। যেহেতু মাতারবাড়ী পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর জলসীমা বিস্তৃত, তাই সেখানে জাহাজ ভিড়লে ‘পোর্ট অব কল’ ধরা হবে চট্টগ্রাম বন্দরকেই। অর্থাৎ যাবতীয় মাসুল চট্টগ্রাম বন্দরই পাবে।
জাহাজের পাইলটিং করে চট্টগ্রাম বন্দরই। জেটিতে জাহাজ ভেড়ানো সমন্বয় করতে গত ২৩ ডিসেম্বর বন্দর ভবনে একটি সভা করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেখানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আসা জাহাজ কীভাবে পরিচালিত হবে তার একটি গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করছে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প। প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের মধ্যে।
সান নিউজ/কেটি