বগুড়া প্রতিনিধি:
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জনসমাগমে। কিন্তু তা অমান্য করে ওরসের আয়োজন করা হয় বগুড়ায়। তাতে নিষেধ করায় বরং পুলিশের ওপর চালানো হয় হামলা। এ অভিযোগ পুলিশেরই। বুধবার (২৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সুলতানগঞ্জ পাড়ার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ২২-২৩ আটক করে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, স্থানীয় পীর বলে খ্যাত সিরাজুল হক চিশতির মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রতিবছর ভক্তরা বাড়িতে থাকা মাজারের পাশে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে থাকেন। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বুধবার ওরসে বিপুল সংখ্যক ভক্ত আসেন। করোনাভাইরাসের কারণে যেকোনো জনসমাগম নিষেধ থাকার পরও এ আয়োজন করায় পুলিশের পক্ষ থেকে দু’দফা নিষেধ করা হয়।
এরপরও ভক্তরা অবস্থান করায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নান্নু খান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম আসেন। তারা আবারও অনুষ্ঠান করতে নিষেধ করলে ভক্তরা দরজা বন্ধ করে এই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বেদম মারপিট করে। খবর পেয়ে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সদর থানার ওসি বিপুল সংখ্যক ফোর্স নিয়ে সেখানে পৌঁছালে ওরসের লোকজন আবারও লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হন। পরে পুলিশ দরজা ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে অনেককে আটক করে। এছাড়া বেশ কয়েকজন নারী ভক্তকে স্থানীয় কাউন্সিলর সৈয়দ সার্জিল আহমেদ টিপু ও তরুণ চক্রবর্তীর জিম্মায় দেয় পুলিশ।
এদিকে বগুড়া কয়েকজন ভক্ত ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পুলিশ কয়েকটি ঘরের দরজা ভেঙে মারপিট করে ওরসের আয়োজক রাহুল গাজী ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নুরুল আমিন নুরুসহ বেশ কয়েকজনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গেছে।