নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ফুলদী নদীতে বড়শি দিয়ে পুঁটি মাছ ধরে সংসার চালান প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টির মতো পরিবার। সারাদিন মাছ ধরে ২ থেকে ৩শ টাকা আয় হয় তাদের। এ দিয়েই চলে সংসার। তবে কেউ কেউ অন্য পেশায় এর চেয়ে বেশি আয় করতে পারলেও শখের কারণে মাছ ধরেই সংসার চালিয়ে থাকেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, গজারিয়া উপজেলার ফুলদি নদীর রসুলপুর ফেরীঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় নৌকার মধ্যে বড়শি নিয়ে মাছ ধরছে জেলেরা। ছোট ছোট বড়শির মধ্যে আটা, বিস্কুট, পাউরুটি গুলিয়ে মাছের খাদ্য তৈরি করে তা দিয়ে পুঁটি মাছ ধরছেন। খাবার উপকরনের কারণে শুধু পুঁটি মাছই ধরে তাদের বড়শিতে। তবে মাঝেমধ্যে দু একটি নলা, শরপুটি জাতীয় মাছও পায় তারা।
মাছ ধরতে থাকা রজ্জব আলী, কবির, ইমরান জানান, প্রতিদিন মাছ ধরে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন তারা। যেদিন ভালো মাছ পান সেদিন তা বিক্রি করে ৩ থেকে ৪শ টাকা আয় হয়। তারা অনেকে পাশাপাশি অন্য কাজ করলেও যখন অন্য কাজকর্ম থাকেনা তখনই বড়শি নিয়ে ছুটে আসেন মাছ ধরতে। আবার অনেকে ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে অন্য পেশার কাজ করতে না পেরে বেছে নিয়েছেন এই পেশা। কারণ বড়শি দিয়ে শারীরিক কঠিন শ্রম ছাড়াই সহজেই মাছ ধরা যায় আর এ পেশায় রয়েছে বাড়তি আনন্দ।
মাছ ধরতে থাকা জেলেরা জানান, গজারিয়া উপজেলার এই অঞ্চলটি ৩ জেলার মোহনায় অবস্থিত হওয়ায় গজারিয়া ছাড়াও নারায়নগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলার লোকজন এ নদীতে মাছ ধরতে আসে। ফুলদি নদীটি মেঘনা নদীর শাখা নদী হওয়ায় এক সময় এই নদীতে প্রচুর পরিমাণ মাছ পাওয়া যেতো। কিন্তু পলি পড়ার কারণে নদীটা ভরাট হওয়ার এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায়না।
তাছাড়া নদীতে ছোপ ফেলে (মাছের অভয় আশ্রম) মাছ ধরার কারণে বড়শিতে এখন আর আগের মত মাছ পাওয়া যায়না। তাই তারা নদীটি কর্তণের মাধ্যমে গভীর করণ ও যত্রতত্র ছোপ ফেলে মাছের অবাধ চলাচল বিঘ্ন ঘটিয়ে যাতে কেউ মাছ শিকার না করতে পারে সেদিকে দৃষ্টি দেয়ার জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
সান নিউজ/এনএইচ/এস