নিজস্ব প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ : বাঙালি মায়েরা নিজে না খেয়ে সন্তানদেরকে পেট ভরে খাইয়ে শুন্য ভাতের হাঁড়িটি ভালো করে ঢেকে অন্যত্র সরিয়ে রেখে কাউকে বুঝতেও দেয় না যে, হাঁড়িতে আর ভাত নেই।
গর্ভধারিনী মা ও জন্মদাতা পিতা উভয়েই তার সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। ন্যায়পরায়ণ ও আদর্শবান পিতা-মাতার দেওয়া সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সন্তানেরা সমাজ তথা গোটা বিশ্বে মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করে। তখনই চারিদিকে তাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। ঠিক তেমনি সন্তান অবাধ্য হলে, মা-বাবা তথা গোটা পরিবারের বদনাম হয়। তাই আমরা আমাদের আদরের সন্তানের প্রতি অধিক যত্নবান হয়ে তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে সকলেই সচেষ্ট হই।
শনিবার রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২০নং গোবরা ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান চৌধুরী (টুটুল) এর আয়োজনে মুজিববর্ষ উপলক্ষে রত্মগর্ভা মায়েদের সম্মাননা প্রদান-২০২০ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা এসব কথা বলেন।
তিনি এ আয়োজনকে সমর্থন দিয়ে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের সকল রত্মগর্ভা মায়েদেরকে সম্মাননা প্রদান করতে উদাত্ত আহ্বান জানান।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে, গোবরা ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান চৌধুরী (টুটুল) এর সঞ্চালনায়, রত্মগর্ভা মায়েদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মামুন খান, উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নিরুন্নাহার ইউসুফ সহ সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধা ও রত্মগর্ভা সন্তানের মা ও বাবা। পরে গোবরা ইউনিয়নের ১৭ জন রত্মগর্ভা মুসলিম এবং সনাতন হিন্দু মায়েদেরকে সম্মাননা স্বরূপ ক্রেস্ট, জায়নামাজ ও তসবীহ, শীতবস্ত্র, মা-স্বরস্বতীর প্রতিমা প্রদান করা হয়।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঘোনাপাড়া মোড় সংলগ্ন জামান সেন্টার চত্ত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেলায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ সহ এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/জিএমএস/এনকে/এস