নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোলা : ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর জেলেরা কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে হতাশ । ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও মা ইলিশ রক্ষায় ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই নদীতে দেখা দিয়েছে ইলিশের শূন্যতা।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) অন্যদিনের মতো পেটের দায়ে জীবিকার সন্ধানে অনেক জেলেই জাল-ট্রলার নিরাপদে রেখে চলে গেছেন অন্য পেশায়। চলতি বছর ইলিশের ভরা মৌসুমে নদীতে মাছের পরিমাণ ছিল অনেকটাই কম। তার মধ্যেই আবার ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধি ও মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। তারপর এখন পর্যন্ত নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশের।
প্রতিদিন জেলেরা নদীতে গিয়ে দু-চারটি ইলিশ জুটলেও অধিকাংশ জেলেই ঘাটে ফিরছেন খালি হাতে। বর্তমানে পরিবার-পরিজনের পাশাপাশি মহাজনের দেনা ও এনজিওর ঋণের টাকাই তাদের কপালে যেন চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, নদী এলাকার অধিকাংশ মাছঘাটে কেনাবেচা নেই বললেই চলে। ইলিশের পরিমাণ কম থাকায় অধিকাংশ ব্যবসায়ীই অলস সময় পার করছেন।
জেলে মাইনুদ্দিন বলেন, সকালে নদীতে গিয়েছি। টানা ৫ ঘণ্টা নদীতে জাল ফেলে কিছু পোয়া ও আইড় মাছের পোনা পেয়েছি। যা দিয়ে ট্রলারের ভাগসহ তেলের খরচই পোষানো কষ্টসাধ্য হয়ে উঠবে। জেলে নসু মিয়া বলেন, এবার মৌসুমের শুরু থেকেই ইলিশের পরিমাণ খুবই কম। আমাদের মতো সাধারণ জেলেরা ধারদেনা করে একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গেছি।
ভোলা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত বছর আমাদের ইলিশের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার টন কিন্তু উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ৭৭ হাজার টন। তাই চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৭০ হাজার টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। তবে ইলিশের আকার যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে মাছের পরিমাণ কিছুটা কম হলেও অর্জিত লক্ষ্যমাত্রার ১০-১২ টন বেশি মাছ আহরণ করা যাবে।
সান নিউজ/এসএ