নিজস্ব প্রতিনিধি, চাঁদপুর : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের মূল বেড়িবাঁধে আবারও ধসের ঘটনা ঘটেছে। বাঁধের ৫০ মিটার এলাকায় গর্ত ও ফাটল দেখা দিয়েছে।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালের দিকে বাঁধটির জনতা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবরটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ বালুর বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলে সাময়িকভাবে ধসে পড়া স্থান মেরামত করে।
উপজেলার জনতা বাজার এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, তারা সকালে বেড়িবাঁধ ধসে পড়ার খবর পান। সঙ্গে সঙ্গে এলাকার লোকজন নিয়ে সেখানে যান। দেখতে পান, বেড়িবাঁধটির দক্ষিণ-পূর্ব পাড়ের অন্তত ২০০ ফুট জায়গা মেঘনার দিকে ধসে পড়েছে। খবর পেয়ে পাউবোর প্রকৌশলীসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বালুর বস্তা ফেলে ধসে পড়া স্থানটি মেরামত করা হয়।
সেচ প্রকল্পের মূল বেড়িবাঁধ ঘুরে দেখা গেছে, ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের জনতাবাজার এলাকায় ৫০ মিটারের বেশি এলাকা ধসে গেছে। সেখানে বিরাট গর্ত ও ফাটল দেখা দিয়েছে। ওই ফাটল দিয়ে মেঘনার পানির প্রবেশ ঠেকাতে চাঁদপুর পাউবোর লোকজন অনেকগুলো বালুর বস্তা ফেলে আপাতত মেরামত করেছেন। সেখানে পানি ঢোকা বন্ধ রয়েছে। বাঁধটির ধসে পড়া স্থান দেখতে সেখানে ভিড় করছেন স্থানীয় লোকজন।
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প পানি ব্যবহারকারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সরকার মো. আলাউদ্দিন বলেন, ১৯৮৮ সালে সেচ প্রকল্পের ৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই মূল বেড়িবাঁধ নির্মিত হয়। নির্মাণের পর থেকে এ পর্যন্ত দুবার এটি ভেঙে যায়। লাখ লাখ টাকার ফসল ও ঘরবাড়ি বিনষ্ট হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, চাঁদপুর পাউবোর দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতার কারণে এবারও বাঁধটিতে বিরাট ধস নামে। আগে থেকে সতর্ক থাকলে এ ঘটনা ঘটত না।
সান নিউজ/কেটি