এম. আমান উল্লাহ, কক্সবাজার : পাহাড়, সমুদ্র-ঝর্ণার অপূর্ব মিলনমেলা দেখতে পর্যটকরা ভিড় করছেন কক্সবাজারের হিমছড়িতে। একপাশে সমুদ্রের নীল জলরাশি আর অন্যপাশে পাহাড়ের সারি। সিঁড়ি বেয়ে সেই ৩০০ ফুট উঁচু পাহাড়ে উঠার আনন্দ, যা বিমোহিত করছে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুদের।
এ ছাড়াও দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়ক। একপাশে বিশাল সমুদ্র সৈকত আর অন্যপাশে পাহাড়। এর মাঝে দেখা যায় নীল জলরাশি ও ঢেউয়ের খেলা। কাঁশবন ও পাহাড়ি ফুলের সৌন্দর্য আর জেলেদের সাগরে মাছ শিকারের দৃশ্য।
মেরিন ড্রাইভ সড়কের ১২ কিলোমিটার দূরের পর্যটন স্পট হিমছড়ি। পাহাড়ের শীতল পানির ঝর্ণা দেখতে ছুটে আসছেন দূর-দূরান্তের পর্যটকরা। কেউ ফ্রেমবন্দি করছেন সুন্দর মুহূর্ত। আবার শীত উপেক্ষা করেই ঝর্ণার পানিতে নামছেন অনেকেই।
ঘুরতে আসা একজন মহিলা দর্শনার্থী বলেন, পরিবেশ খুব ভালো এর আগেও ঘুরতে এসেছি।
এক যুবক বলেন, হানিমুনে আসছিলাম কক্সবাজারে ওখান থেকে হিমছড়ি আসছি এরপরে ইনানি যাব। বিশাল পাহাড়ে ২৬০টি সিঁড়ি বেয়ে পর্যটকরা উঠছেন ৩০০ ফুট উঁচু পাহাড়ে। সেখান থেকে সমুদ্রের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে অভিভূত পর্যটকরা।
এক পর্যটক বলেন, ওপর থেকে সমুদ্রের যে দৃশ্য এটা দেখে খুবই সুন্দর লাগল। মানুষজন ছাড়া সমুদ্রের অনুভূতিটা একটা অন্যরকম। পাহাড় থেকে সমুদ্রের ভিউটা আসলেই অনেক ভালো লাগছে। হিমছড়িতে ২ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পর্যটক সমাগমে ব্যবসা ভালো হওয়ায় করোনা ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আশা ব্যবসায়ীদের।
এক ছবি তোলা ব্যবসায়ী বলেন, করোনার সময় বেকার ছিলাম, এখন আলহামদুলিল্লাহ লোকজন আসছে।
দোকান ব্যবসায়ী বলেন, লোকজন আসছে এখন। সামনে আরও আসবে। এখন কিছুটা শান্তির মধ্যে আছি।
কক্সবাজার থেকে ইজিবাইক, সিএনজি ও জিপযোগে পর্যটকরা যেতে পারবেন পাহাড়ি জনপদ হিমছড়িতে। যেখানে প্রবেশ করতে জনপ্রতি পর্যটককে গুনতে হয় ২৩ টাকা।
সান নিউজ/কেটি