নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোলা : চাকরি করতে চাওয়ায় স্ত্রীর চুল কেটে দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম নামে এক মাদ্রাসার শিক্ষক। এ ঘটনায় ২৪ ডিসেম্বর বোরহানউদ্দিন থানায় করা মামলায় শ্বশুরকে গ্রেফতার করে ভোলা জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোলার বোরহানউদ্দিন হেলিপ্যাড রোড এলাকায় গত মঙ্গলবার স্ত্রী চাকরি করতে চাওয়ায় শিক্ষক সাইফুল ইসলাম তার চুল কেটে দেন। সাইফুল ইসলাম ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘদী ইউনিয়নের কমরউদ্দিন এলাকার মৌলভীবাড়ির তৈয়বুর রহমানের ছেলে ও বোরহানউদ্দিন দারুস সুন্নাত মডেল একাডেমির সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী খাদিজা বেগম বোরহানউদ্দিন থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তার শ্বশুর তৈয়বুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ভোলা জেল হাজতে পাঠায়।
খাদিজার চাচা মো. খায়ের দৈনিক জানান, ছোট বেলায় খাদিজার বাবা মারা যাওয়ায় তারাই তাকে পড়াশুনা ও লালন পালন করেছেন। ৬ মাস আগে খাদিজার সঙ্গে বিয়ে হয় সাইফুল ইসলামের। বিয়ের পর তারা বোরহানউদ্দিন হেলিপ্যাড রোড এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। বিয়ের আগে খাদিজা একটি মহিলা মাদ্রাসায় সহকারী শিক্ষকের চাকরি করতেন। দুই মাস আগে স্বামী সাইফুল ইসলামের নির্যাতন ও চাপে চাকরি ছেড়ে দেন খাদিজা।
এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খাদিজা চাকরি করতে চায়, সময়মতো রান্না ও খাবার বিতরণ করে না। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হতো কিন্তু তাকে নির্যাতন করতাম না।’তিনি আরও জানান, তার স্ত্রীর চুল পড়ে যায় তাই তাই ভালোর জন্য কেটে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল আমিন জানান, চারজনকে আসামি করে মামলায় দিয়েছে ভুক্তভোগী নারী। এ মামলার ২ নাম্বার আসামি বাদীর শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করে ভোলা জেল হাজতে পাঠানো হয়। প্রধান আসামিসহ বাকিরা পলাতক রয়েছে। তাদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।
সান নিউজ/পিডিকে/এস