নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট : সিলেট মহানগর পুলিশের বরখাস্তকৃত এসআই আকবরের পক্ষে লড়ছেন না সেই আইনজীবী মিসবাউর রহমান আলম।
আদালতে দায়েরকৃত তার ওকালতনামাও তিনি প্রত্যাহার করেছেন বলে জানা গেছে।
সিলেটের বহুল আলোচিত রায়হান হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত বরখাস্তকৃত এসএই আকবর হোসেন পাঠানের পক্ষে তিনি ওকালতনামা জমা দিয়েছিলন।
বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন এই অ্যাডভোকেট। এমনকি তার সিনিয়রকে জড়িয়ে নানা কথা ছড়িয়ে পড়ে সিলেটসহ সারাদেশে। এই প্রেক্ষাপটেই তিনি ২৪ ডিসেম্বর তার ওকালতনামা প্রত্যাহার করেছেন।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) তিনি বিষয়টি নিশ্চিত জানান, আইনি পেশায় থেকে অনেক মামলা পরিচালনা করেছি। রায়হান হত্যা মামলাও তেমনি একটি মামলা। অধিক অর্থ নয়, বরং পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকেই মামলাটি গ্রহণ করি এবং ওকালতনামাও দাখিল করি।
তিনি বলেন, আইনি সেবা পাওয়া প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার। আত্মপক্ষ সমর্থন ছাড়া কাউকে দন্ডিত করা যায় না। এ মামলাটি সর্বোচ্চ দন্ডাদেশের মামলা। এক্ষেত্রে আসামি আইনজীবী নিয়োগে অক্ষম হলে রাষ্ট্র আইনজীবী নিয়োগ দিতে বাধ্য। নইলে বিচার প্রক্রিয়াই আটকে যাবে। এই দৃষ্টিকোন থেকে আকবরের পক্ষে আইনজীবী হতে আমি সম্মত হই।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু এতে অনেকেই শ্রদ্ধাভাজন সিনিয়রকে জড়িয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় আমি বিরত হলাম। ওকালতনামা সারেন্ডার করেছি এবং এ সংক্রান্ত একটি আবেদনও বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেছি। আকবর কোন আইনজীবী না পেলে এই মামলার বিচার হবে না, সেটা যেমন রায়হানের পরিবারের জন্য সুখকর হবে না, তেমনি তা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠারও অন্তরায় হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১১ অক্টোবর সকালে আখালিয়ার অধিবাসী রায়হান আহমদ (৩৪) পুলিশি নির্যাতনে মারা যান। সে রাতেই হেফাজতে মৃত্যু আইনে মামলা করেন তার স্ত্রী তামান্না।
বন্দর বাজার ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ ৪ জনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও ৩ জনকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ১৩ অক্টোবর এসআই আকবর পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে যান। ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত থেকে খাসিয়াদের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সান নিউজ/এক/কেটি