নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা : আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে চালনা পৌরসভা নির্বাচন। এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০ এবং কাউন্সিলর পদে ২৭ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই অর্ধশিক্ষিত। ৩৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে স্বাক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন ৩ জন এবং ১ জন চতুর্থ শ্রেণি পাস, ১১ জনই অষ্টম শ্রেণি, ৬ জন এইচএসসি পাস এবং ১০ জন মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও স্নাতকোত্তর রয়েছেন মাত্র ৫ জন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামা থেকে এ সব তথ্য জানাযায়।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০ জনের অধিকাংশেরই শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে এবং পেশা গৃহিণী।
সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাঁচজন। এরা হলেন- আমোদিণী রায়, কণিকা বৈরাগী, রাবেয়া পারভীন, অঞ্জনা সরকার ও মোসাম্মৎ রুবাইয়া ইয়ামিন। তাদের মধ্যে অঞ্জনা সরকার স্নাতক (এমএ) পাস এবং উচ্চমাধ্যমিক পাস কনিকা রাণী বৈরাগী বাকি তিনজন অষ্টম শ্রেণি পাস। সবাই গৃহিণী। এর মধ্যে আমোদিনী রায় বর্তমান সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর।
সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাঁচজন। মঞ্জু রাণী ধর ও হাসিনা বেগম। এরা দুজনেই মাধ্যমিক পাস। এর মধ্যে মঞ্জু রাণী ধর উচ্চমাধ্যমিক পাস। তিনি বর্তমান সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও হাছিনা বেগম মাধ্যমিক পাস। পেশায় মৎস্যঘের ব্যবসায়ী।
সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিন জন। এরা হলেন জামিলা বেগম, নাসিমা বেগম ও রাধা জোয়াদ্দার। তিনজনের মধ্যে একজন এসএসসি পাস, একজন স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন ও একজন অষ্টম শ্রেণি পাস। এরমধ্যে অষ্টম শ্রেণি পাস বর্তমান নারী কাউন্সিলর জামিলা বেগম। এছাড়া নাছিমা বেগমের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বাক্ষরজ্ঞান ও ও রাধা জোয়াদ্দার এসএসসি পাস। দুজনেই গৃহিণী।
এ নির্বাচনে নয়টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন ২৭ জন। হলফনামা অনুসারে এই ২৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন দুইজন। আর মাধ্যমিক পাস করতে পারেননি নয় জন। এ ছাড়া স্নাতকোত্তর পাস রয়েছেন চারজন প্রার্থী। প্রার্থীদের মধ্যে ১৪ জনই কৃষিকাজ করেন। এছাড়া তিনজন চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ী, তিনজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ৭ জন অন্যান্য ব্যবসায়ী।
এ নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী চার জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে সাবেক মেয়র ড. অচিন্ত কুমার মন্ডল। তিনি পিএইচডি ডিগ্রিধারী। স্বতন্ত্র প্রার্থী গৌতম কুমার রায় বিএসসি পাস। এরা দুজনেই মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। অন্যদিকে বর্তমান পৌর মেয়র ও আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী সনত কুমার বিশ্বাসের শিক্ষাগত যোগ্যতা এস এস সি পাস এবং বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়েরের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন।
হলফনামায় উল্লেখ আছে, বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সনত কুমার মাসিক আয় দেখিয়েছেন ২৯ হাজার টাকা এবং সম্পদ বলতে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ১৫ তোলা স্বর্ণ। বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আবুল খয়ের খানের মাসিক আয় ২৭ হাজার টাকা। সম্পদ বলতে নগদ ১ লক্ষ টাকা ও কৃষি ব্যাংকে ৫ হাজার টাকার সঞ্চয়। পৌর সভার সাবেক মেয়র অচিন্ত কুমার বিশ্বাসের মাসিক আয় ৩৭ হাজার ৭৬২ টাকা। প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় দেখিয়েছেন স্বতস্ত্র প্রার্থী গৌতম কুমার রায়। তার মাসিক আয় ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা।
সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মাহামুদ হোসেন বলেন, প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, আয়ের উৎস জেনে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন ভোটাররা।
সান নিউজ/কেএ/কেটি